মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, গাজায় যুদ্ধের অবসান ও হামাসের হাতে আটক অবশিষ্ট পণবন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে শিগগিরই একটি চুক্তি হতে পারে।
রাইডার কাপ গল্ফ টুর্নামেন্টে যোগ দিতে যাওয়ার আগে হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘মনে হচ্ছে, গাজা নিয়ে আমাদের একটি চুক্তি হতে যাচ্ছে।’
শনিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ডয়চে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেন, ‘আমি মনে করি এটা এমন একটা চুক্তি, যা পণবন্দীদের ফিরিয়ে আনবে। এটি এমন একটি চুক্তি, যা যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।’
তবে চুক্তিটি কিভাবে বা কখন সই হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাননি তিনি। এদিকে আগামীকাল সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সাথে ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই হোয়াইট হাউসের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছিলেন, জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে আসা সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, তুরস্ক, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের কাছে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রস্তাব পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজায় যুদ্ধ বন্ধের এই প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এখনো আটক থাকা সব পণবন্দীকে ফেরত পাঠানো হবে, কাতারের ওপর আর কোনো ইসরাইলি হামলা চালানো হবে না এবং ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে’র বিষয়ে একমত হতে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে নতুন করে সংলাপ শুরু করা হবে।
নেতানিয়াহু অবশ্য সংলাপের বিষয়ে একমত হবেন কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তিনি শুক্রবার জাতিসঙ্ঘে দেয়া ভাষণে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, এমন পরামর্শ ‘নিছক পাগলামি’ এবং ইসরাইলের জন্য এমন পদক্ষেপ ‘আত্মহত্যার সামিল’।
গাজায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইলের সামরিক আগ্রাসন শুরুর পর থেকে ৬৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজার বেশিভাগ এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।



