ছাত্রলীগ নেত্রী হেমা এখন বাম জোটের প্রার্থী

ডাকসু নির্বাচনে প্রতিরোধ পর্ষদ থেকে লড়াই করা হেমা চাকমা একসময় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন এবং কোটা আন্দোলনে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা দাবিতেও সক্রিয় ছিলেন।

হারুন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
হেমা চাকমা
হেমা চাকমা |সংগৃহীত

আসন্ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে বামপন্থী ছাত্র সংগঠংনগুলোর একাংশের জোট ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ থেকে সদস্য পদে লড়ছেন হেমা চাকমা। তবে তার ব্যাপারে বের হয়ে এসেছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।

জানা গেছে, তিনি নিষিদ্ধ-ঘোষিত ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইন্সটিটিউটের সাংস্কৃতিক উপ-সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া গত বছরের ১২ জুলাই সারা দেশ যখন কোটা বাতিলের দাবিতে উত্তাল ছিল, তখন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বহালের দাবিতে হেমা চাকমার বিক্ষোভ করার একটা ছবিও পাওয়া গেছে।

সম্প্রতি তিনি ডাকসুতে ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদপ্রার্থী ফাতিমা তাসনিম জুমাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিরূপ মন্তব্য করে পোস্ট করে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি করেন। যদিও সমালোচনার মুখে পরে তিনি পোস্টটি সরিয়ে নিয়েছেন তার প্রোফাইল থেকে।

এদিকে তার প্রোফাইল ঘুরে তার আরেকটি পোস্টে দেখা যায়, তিনি এক গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছেন, ‘আমাকে ভোট না দিলে আসলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হেরে যাবে। এই কারণে যে আমি সবসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌক্তিক আন্দোলনের পক্ষে ছিলাম।’

কিন্তু তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘুরে পাওয়া যায় পুরো ভিন্ন চিত্র। গত বছর ১৫ জুলাই যখন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ও মহানগরের নেতাকর্মীরা মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় ঢাবি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে, সেই রাতে তিনি তার ফেসবুক প্রোফাইলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরাঘুরির অবস্থার একটি ছবি আপলোড করেন। সেই ছবিতে তাকে তার দুই বান্ধবীর সাথে খুবই হাসিখুশি ভঙ্গিমায় দেখা গেছে।

হেমা চাকমার ছাত্রলীগের পদ ও জুলাইবিরোধী পোস্ট নিয়ে সমালোচনায় মুখর নেটিজেনরা। মাহমুদুল হাসান নামে এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, লীগ আর বাম তো একই। হাসান আরিফ নামে আরেকজন বলেন, ছাত্রলীগের পদ নিয়ে জুলাইয়ের বিরোধিতা করা এই বামরাই এখন বড় বিপ্লবী সাজে।