রাজধানীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ২০০২ সালে বুয়েট শিক্ষার্থী সাবেকুন নাহার সনি হত্যা মামলায় বিশেষ বিবেচনায় মুক্তি পাওয়ার পর অস্ত্র কারবারে জড়িয়ে পড়েছিলেন মো: মুশফিক উদ্দীন টগর।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন এ তথ্য জানান।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর আজিমপুর থেকে অস্ত্র ও গুলিসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার থেকে ৩২ মি. মি.-এর একটি রিভলবার, একটি ম্যাগাজিন, একটি কাঠের পিস্তলের গ্রীপ, ১৫৫ রাউন্ড (২২ রাইফেল), একটি ৭.৬২ মি. মি.-এর মিসফায়ার গুলি, একটি শর্টগানের খালি কার্তুজ, দু’টি মুখোশ ও দু’টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
লে. কর্নেল ফায়েজুল আরেফীন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুশফিক থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যায়। তিনি সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে অস্ত্র এনে ঢাকায় এনে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে সরবরাহ করেন। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী পরে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান চলমান থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সনি হত্যা মামলায় মুশফিক ২০০২ সালে ২৪ জুন গ্রেফতার হন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২০ আগস্ট তৎকালীন সরকারের বিশেষ বিবেচনায় কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। মূলত আমরা অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে তার পরিচয় পাই। এরপর জানতে পারি যে তিনি বুয়েট শিক্ষার্থী সনি হত্যা মামলার অন্যতম আসামী।
উদ্ধার হওয়া মুখোশের বিষয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রে নিজের পরিচয় গোপন রাখতে এসব মুখোশ ব্যবহার করতেন। এছাড়া অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করতেন কিনা সেটা তদন্তে জানা যাবে।