উপসম্পাদকীয়
নিরাপত্তা হুমকি : কাতার ও আরবরা কী করবে
কাতারকে অবশ্যই নিরাপত্তা সুরক্ষার দিকে যেতে হবে। সৌদি-পাকিস্তান নিরাপত্তা চুক্তি একটি বার্তা। এই আদলে বহু রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ সংগঠিত করতে হবে। মধ্যপ্রাচ্যে সম্মিলিত এমন নিরাপত্তা প্ল্যাটফর্ম যদি আরব ও তুর্কিদের পাশাপাশি ইরানকেও অঙ্গীভূত করতে পারে, তাহলে নিরাপত্তার ভারসাম্য মুসলিমদের অনুকূলে আসবে। বস্তুত কার্যকর নিরাপত্তা নীতি, সামরিক প্রস্তুতি ও কূটনৈতিক দক্ষতার সমন্বয়ই জরুরি। প্রমাণ করতে হবে কাতার যেভাবে বিরোধ নিরসনে দক্ষ, তেমনি বাস্তবিক অর্থে প্রতিরক্ষায় সক্ষম এক সার্বভৌম রাষ্ট্র
স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তি কেন নয়
লাহোর প্রস্তাবের অনুগামী হিসেবে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় যারা অবদান রেখেছিলেন তাদের এবং তাদের অনেক উত্তরসূরির ভূমিকাকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম বিষয়ে একটি শ্রেণী ও গোষ্ঠী রাজাকারের ভূমিকা হিসেবে চিহ্নিত করতে সচেষ্ট।
ভারতে ওয়াকফ আন্দোলনের পারদ ঊর্ধ্বমুখী
সাচার কমিটির রিপোর্ট অনুসারে, সমগ্র ভারতে ওয়াকফ সম্পত্তির পরিমাণ ছয় লাখ একর। ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা ও রেল মন্ত্রণালয়ের পরে বেশি জমি রয়েছে ওয়াকফ বোর্ডের অধীনে। ওই ওয়াকফ সম্পত্তি থেকে বছরে ১২ হাজার কোটি টাকা আয় হতে পারে যা দিয়ে মুসলিম সমাজের নানা উন্নয়মূলক কাজ হতে পারত; কিন্তু সে ধরনের কোনো উদ্যোগ ভারত সরকার বা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নেই। এভাবে ওয়াকফ সম্পত্তি রাজনৈতিক হাঙর ও প্রোমোটারদের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। এটাই বাস্তবতা। মুসলিমরা তাই তাদের আন্দোলনের পারদ ঊর্ধ্বমুখী করতে চাইছেন।
ডাকসুর পর জাকসু : জেন-জেডের মনোস্তত্ত্ব
মনে রাখতে হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচনে সবাই সচেতনভাবে ভোট দেন, যেটি সাধারণত জাতীয় নির্বাচনে হয় না। জাতীয় নির্বাচনে সচেতন, বেশি সচেতন, কম সচেতন সবাই ভোট দেন। সেখানে থাকে আবেগ, ব্যক্তির প্রতি মোহ ও মার্কার প্রতি ভালোবাসা। কাজেই ডাকসু-জাকসু ফলে বিএনপির জন্য যেমন হতাশার কিছু নেই, তেমনি জামায়াতের জন্যও অতি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা হতে পারে আত্মঘাতী।