অভিমত
ঐক্য-অনৈক্যে হতাশ আমজনতা
সরকার, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী ও এনসিপি মধ্যকার ত্রিমুখী অবস্থান দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য অশনিসঙ্কেত বলে মনে করছি আমরা আমজনতা। কারণ গণ-অভ্যুত্থানের অংশীজনদের মধ্যে অনৈক্যের পথ ধরে ফ্যাসিস্ট শক্তির পুনর্বাসনের পথ তৈরি হতে পারে। কাজেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে নিজেদের দূরত্ব কমিয়ে রাজনৈতিক দল ও সরকারকে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া অন্য কোনো গত্যন্তর আছে বলে আমাদের মনে হয় না
জাতীয় জীবনে ৭ নভেম্বরের তাৎপর্য
প্রকৃতপক্ষে ৭ নভেম্বর ছিল ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের ঘটনাবলির চেইন রিঅ্যাকশন। ১৫ আগস্টের নায়করা শেখ মুজিবকে হত্যার পর ভারতবিরোধী অবস্থান নেয়ায় জনসাধারণের মনে এই বিশ্বাস প্রবল হয় যে এই অভ্যুত্থান ঠেকাতে ৩ নভেম্বরের সামরিক ক্যুদেতারা ছিলেন নিশ্চিতভাবেই ‘ভারতপন্থী’।
মামদানির নিউ ইয়র্ক জয়
একশ্রেণীর মানুষ ইসলাম ও মুসলমানদের সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। কিন্তু এত কিছুর পরও পশ্চিমা বিশ্বে মুসলমানরা এগিয়ে যাচ্ছে। নিউ ইয়র্ক শহরের মেয়র পদে মুসলামানের বিজয়ে মার্কিন সমাজের কোনো ক্ষতি হবে না। সুতরাং যারা কথায় কথায় মুসলমানদের সমালোচনা করেন, মুসলমানদের উত্থানে সমাজের সমস্যার কথা বলেন তাদের উচিত এসব সঙ্কীর্ণ ও বর্ণবাদী চিন্তা পরিহার করে সমাজের মধ্যে ঐক্য ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা। তাহলেই বিশ্বব্যাপী ধর্মীয় সম্প্রীতি বৃদ্ধি পাবে এবং সবর্ত্রই শান্তি বিরাজ করবে; যা সবারই কাম্য।
৭ নভেম্বরের ‘আনসাং হিরো’
বিএনপি ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকে নৃশংস হত্যাকাণ্ড মনে করে বিধায় অভ্যুত্থানকারীদের বাঁচানোর চেষ্টা করেনি। কেউ কেউ মনে করেন, শেখ মুজিবের একসময়কার ব্যক্তিগত সচিব ও পরে বিএনপি সরকারের আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদও চেয়েছিলেন অভ্যুত্থানকারীদের ফাঁসি হোক। বিএনপি ১৫ আগস্টকে ধারণ না করলেও ৭ নভেম্বরের অভ্যুত্থানকে ‘সিপাহি-জনতার বিপ্লব’ নামে অভিহিত করে তা ঘটা করে উদযাপন করে।








