গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে প্রথম দিনের আলোচনা ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে

প্রথম দিনের আলোচনায় ইসরাইলি পণবন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রস্তাবিত বিনিময়, যুদ্ধবিরতি ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা
যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা |সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০-দফা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মিসরে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে পুনরায় শুরু হওয়া পরোক্ষ আলোচনার প্রথম দিন ইতিবাচকভাবে শেষ হয়েছে। মঙ্গলবারও (৭ অক্টোবর) এই আলোচনা অব্যাহত থাকবে।

একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সোমবার মিসরের শার্ম আল-শেখ শহরে অনুষ্ঠিত বৈঠকটি ‘ইতিবাচক’ ছিল। বর্তমান আলোচনা কিভাবে চালিয়ে নেয়া হবে তার জন্য একটি রোডম্যাপও তৈরি করা হয়েছে।

হামাসের প্রতিনিধিদল মধ্যস্থতাকারীদের বলেছে, গাজায় ইসরাইলের অব্যাহত বোমা হামলা পণবন্দীদের মুক্তির আলোচনার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। প্রতিনিধিদলের মধ্যে হামাস নেতা খলিল আল-হায়া ও জাহের জাবারিন রয়েছেন। গত মাসে দোহার মধ্যাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় পাঁচজন নিহত হলেও তারা বেঁচে যান।

মিসরের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিভিশন আল-কাহেরার তথ্য অনুযায়ী, প্রথম দিনের আলোচনায় ইসরাইলি পণবন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের প্রস্তাবিত বিনিময়, যুদ্ধবিরতি ও গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিটও জানান, গাজায় যুদ্ধ অবসান পরিকল্পনার অন্যান্য অংশ বাস্তবায়নে ‘গতি’ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ইসরাইলি পণবন্দী ও ফিলিস্তিনি বন্দীদের দ্রুত বিনিময়ের জন্য চাপ দিচ্ছেন ট্রাম্প।

তিনি বলেন, ‘কৌশলগত দলগুলো পণবন্দীদের মুক্তি দেয়ার জন্য পরিবেশ অনুকূলে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আলোচনা করছে। দলগুলো ইসরাইলি পণবন্দী ও মুক্তিপ্রাপ্ত রাজনৈতিক বন্দীদের তালিকা পর্যালোচনা করছে।’

এদিকে সোমবার বিকেলে ওভাল অফিস থেকে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি চুক্তি করার সত্যিই ভালো সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমি মনে করি আমরা খুব ভালো করছি। এবং আমি মনে করি হামাস এমন কিছু বিষয়ে একমত হচ্ছে যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

সূত্র : আল জাজিরা