ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন বৈঠকের প্রাক্কালে গাজা যুদ্ধের অবসানে চুক্তির দাবিতে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) তেল আবিবে হাজার হাজার ইসরাইলি বিক্ষোভ করেছে।
তেল আবিব থেকে বার্তাসংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীরা তেল আবিবের হোস্টেজ স্কয়ারে সমবেত হয়ে একটি বড় ব্যানার প্রদর্শন করে। ব্যানারটিতে লেখা ছিল, ‘সব পণবন্দীকে এখনই ঘরে ফিরিয়ে আনুন।’
গাজায় বন্দী থাকা ওমরি মিরানের স্ত্রী লিশাই মিরান-লাভি বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ করার এবং সব পণবন্দী ও সৈনিকদেরকে ঘরে ফিরিয়ে আনার জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ ও সমন্বিত চুক্তিই কেবল এই ধ্বংসের হাত থেকে আমাদের বাঁচাতে পারে।’
তিনি ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর ওপর আপনার প্রভাব খাটান। এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে, ওমরি ও অন্যান্য পণবন্দীদের জন্য ঝুঁকি আরো বেড়ে যাবে।’
আগামীকাল সোমবার নেতানিয়াহু ও ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে বৈঠক করবেন।
এর আগে, শুক্রবার জাতিসঙ্ঘ সাধারণ পরিষদে নেতানিয়াহু ঘোষণা দেন, ইসরাইল হামাসকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করার কাজটি সম্পন্ন করবে।
তবে, ট্রাম্প গাজা নিয়ে একটি সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশাবাদ প্রকাশ করেন। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমাদের সামনে একটি গাজা চুক্তি রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এটি এমন একটি চুক্তি, যা বন্দীদের ফিরিয়ে আনবে ও যুদ্ধের অবসান ঘটাবে।’
বন্দী থাকা আলোন ওহেলের ভাই রোনেন ওহেল নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘কোনো চিঠি নয়, কোনো ঘোষণা নয়, কোনো বিলম্ব নয়। এখনই সুযোগ, এখনই আপনি নেতৃত্ব দেখাতে পারেন।’
তবে ইসরায়েলের কট্টরপন্থী জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেনগভির নেতানিয়াহুকে চুক্তিতে সম্মত না হওয়ার জন্য সতর্ক করেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, হামাসকে সম্পূর্ণ পরাজিত না করে যুদ্ধ শেষ করার কোনো অধিকার আপনার নেই।’
নেতানিয়াহুর জোট সরকার কট্টরপন্থী মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে হামাসের হামলার পর শুরু হওয়া যুদ্ধের অবসানের বিরোধী।
সূত্র : বাসস