৫ আগস্ট ২০২৪, সোমবার। সকাল থেকেই রাজধানীজুড়ে রাজনৈতিক উত্তেজনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ছেন এমন গুঞ্জনে উত্তাল হয়ে ওঠে পুরো ঢাকা। বিভিন্ন জায়গা থেকে গণভবনের দিকে রওনা হন আন্দোলনকারীরা। দুপুরের দিকে যাত্রাবাড়ী থানার সামনে জড়ো হয় বড় একটি মিছিল। শান্তিপূর্ণভাবে অগ্রসর হতে চাইলে বাধা দেয় পুলিশ। শুরু হয় হালকা ধাক্কাধাক্কি, স্লোগান। তবে বড় কোনো সহিংসতা তখনও ঘটেনি।
এই সময়েই দৃশ্যপটে আসে সেনাবাহিনী। তিনটি সামরিক গাড়িতে করে আসা সেনাসদস্যরা অবস্থান নেন পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের মাঝে। এক ধরনের ‘মানববর্ম বা বাফার জোন’ তৈরি হয়, যা দেখে মনে হচ্ছিল পরিস্থিতি আরো নিয়ন্ত্রিত হবে।
কিন্তু হঠাৎ ‘যাত্রাবাড়ী থানার ভেতর থেকে ছোড়া একটি গ্রেনেড’ মুহূর্তে পাল্টে দেয় দৃশ্যপট। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সেনাসদস্যদের মাথার ওপর দিয়ে গ্রেনেডটি ছোড়া হয় আন্দোলনকারীদের দিকে। মাত্র চার সেকেন্ড পরেই ঘটে বিস্ফোরণ।
বিস্ফোরণের পর শুরু হয় গুলির শব্দ, মানুষের চিৎকার, দৌড়াদৌড়ি। ‘একটি ভিডিও ফুটেজে’ দেখা যায়, এক পুলিশ সদস্য একজন আন্দোলনকারীকে দৌড়ে পালাতে বলছেন। কিন্তু পরক্ষণেই আরেকজন পুলিশ গুলি ছুড়লে ‘সাদা আলখেল্লা পরা ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলেই পড়ে যান।’ এ ছাড়া বেশ কিছু ফুটেজে দেখা গেছে, পুলিশ খুব কাছ থেকে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালাচ্ছে।
আরো একটি ফুটেজে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পরপরই এক পুলিশ সদস্য হাতে ইশারা দিয়ে অন্যদের থানার ভেতর থেকে বাইরে বের হওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন সম্ভবত প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আরো সহিংসতা মোকাবেলার। সেনাসদস্যরা এ সময় বিস্মিত ও বিপাকে পড়েন বলেই মনে হচ্ছিল।
গতকাল রোববার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দিচ্ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার উপপরিচালক মো: আলমগীর। তিনি এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তার জবানবন্দীর সময় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বিভিন্ন ঘটনার ১৭টি ভিডিও দেখানো হয়। যার একটিতে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনের ভয়াবহ ঘটনার দৃশ্য সামনে আসে। এই বিচারকার্যক্রমের প্রথম অংশ রোববার সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছে।
এ দিন দুপুর ১২টার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ আলমগীর জবানবন্দী দেয়া শুরু করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ট্রাইব্যুনালের সদস্য বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
এই মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি আরো দুই আসামি হলেন, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দিয়েছেন। রোববার তাকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছিল।
যাত্রাবাড়ীতে ওই দিনের ঘটনার আরো মর্মস্পর্শী তিনটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যার একটিতে দেখা যায়, সানু নামের একজন শরীরে গুলি লাগার পর নিকট আত্মীয়ের কাছে ফোন দেয়। কিন্তু ফোনে কথা বলা শেষ হওয়ার আগেই তার শব্দ থেমে যায়। পরবর্তীতে তার স্বজনরা এসে তাকে শনাক্ত করেন যাত্রাবাড়ীর ফুটপাথ থেকে। অপর একটি ভিডিও থেকে দেখা যায়, তায়েম ভূইয়া নামের একজন জুলাই শহীদকে পাখির মতো গুলি করছে পুলিশ। একজন আহত তায়েমকে ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে আসার জন্য গেলে তার পায়েও গুলি করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত তায়েমকে রেখেই পালিয়ে যান ওই ব্যক্তি। প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, আমরা একটি ফোনালাপে শুনতে পেয়েছিলাম। মাঝার নিচে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এই তার নমুনা। প্রসিকিউটর গাজী এইচ এম তামিম তখন বলেন, তায়েম ভূইয়া একজন পুলিশ অফিসারের ছেলে। তার বাবা একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ অফিসারকে বলেছিলেন, একজন মানুষকে হত্যা করতে কয়টা গুলি লাগে স্যার।
যাত্রাবাড়ীর আরেকটি ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায় একজনের মুখমণ্ডলের চোয়াল উড়ে গেছে পুলিশের গুলিতে। যার নাম খোকন চন্দ্র বর্মণ। তিনি বেঁচে আছেন। ট্রাইব্যুনালে এসে সাক্ষ্যও দিয়ে গেছেন।
যাত্রাবাড়ী থানার সামনের ওই দিনের ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। তবে গতকাল ট্রাইব্যুনালে তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর আইটি বিশেষজ্ঞ মিরাজ নামের একজনের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছেন, যাত্রাবাড়ীতে ৫ আগস্ট নিহত ও আহত হয়েছেন ১৯ জন।
ট্রাইব্যুনালে এই ভিডিও প্রদর্শন শেষ হওয়ার পর প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা ও হাসানুল হক ইনুর কথোপকথনে (যা এরই মধ্যে ট্রাইব্যুনালে শুনানো হয়েছে) যাত্রাবাড়ীতে কিভাবে অ্যাকশন নিতে হবে তার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছিল।
পরে এই মামলার বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, আদালতে প্রদর্শিত ভিডিওর মেটা ডাটা বিশ্লেষণ করে এই ভিডিওগুলোর সত্যতা পেয়েছি। সাধারণত আমরা কোনো ভিডিও বা ছবির তথ্য যাচাই করার ক্ষেত্রে ক্যামেরার মডেল, জিপিএস লোকেশন চালু ছিল কি না এগুলো যাচাই করি। এবং টাওয়ার টেম পদ্ধতিতে তা শনাক্ত করি।
এই গুলি যে ভিডিওতে দেখানো হয়েছিল সেটি তৈরি করা হয়েছিল ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। মূলত ৪০০ ভিডিওকে কম্পাইল করে একটি ভিডিওতে আনা হয়েছিল এখানে।
অপর একটি ভিডিওতে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার দৃশ্য দেখা যায়। কিন্তু হেলিকপ্টর থেকে গুলি করার দৃশ্য দেখতে পাননি বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনার পক্ষে নিযুক্ত রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আমির হোসেন। তখন আদালতের নির্দেশনায় দ্বিতীয়বার ভিডিওটি প্রদর্শন করা হয়। এতে মার্ক করে স্পষ্ট ভাবে র্যাবের একটি হেলিকপ্টার থেকে গুলির ঘটনা দেখা যায়। এ ছাড়া ২৬ জুলাই শহীদ আবু সাঈদের বুকে গুলির ঘটনার ভিডিও। সাঈদকে নিয়ে তার বাবার স্মৃতিচারণ। জুলাই আন্দোলনে যোগ দিয়ে পা হারানো তামিমের বর্তমান অবস্থা দেখানো হয়। শহীদ আনাসের মায়ের চিঠি পড়ে শুনানো হয়, শহীদ তাহিরের পরিবারের একটি হৃদয়স্পর্শী ঘটনা দেখানো হয়। শহীদ সুমাইয়া আক্তারের মা, শহীদ ফারহান ফায়াজের বোনের কথোপকথন শোনানো হয়। এটা মূলত সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের তৈরি একটি ডকুমেন্টারির অংশ ছিল।
ট্রাইব্যুনালে গতকাল প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম। সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, তানভীর হাসান জোহাসহ অন্যরা।
এর আগে, ২৪ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২২তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। ওই দিন সাক্ষ্য দেন বিশেষ তদন্ত কর্মকর্তা ও প্রসিকিউটর তানভীর হাসান জোহা। পরে তাকে জেরা করেন শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন।
তদন্তকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯টি অডিও ক্লিপ ও তিনটি মোবাইল নম্বরের সিডিআর বা কল ডিটেইল রেকর্ড জব্দ করেন তানভীর জোহা। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তিনি পাঁচটি অডিও কথোপকথন সংবলিত তিনটি সিডি ট্রাইব্যুনালে দাখিল করেন। পরে সেসব ফোনালাপ শোনানো হয়।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর জব্দ তালিকার সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন তিনজন। তাদের দু’জনই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার রেকর্ড ও লাইব্রেরি ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ২২ সেপ্টেম্বর ৪৯তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দেন শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী। এর মধ্য দিয়ে ঘটনার সাক্ষ্য সম্পন্ন করেন প্রসিকিউশন। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলেই শুরু হবে যুক্তিতর্ক। এরপর রায়ের পালা।
এদিকে, শেখ হাসিনার এ মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দী দেয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে গতকালও ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তার সামনেই জবানবন্দী দেন সাক্ষীরা।
সাক্ষীদের জবানবন্দীতে গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানোর বীভৎস বর্ণনা উঠে এসেছে। আর এসবের জন্য দায়ী করে শেখ হাসিনা, কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা।
গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এ মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে তথ্যসূত্র দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার ও শহীদদের তালিকার বিবরণ দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। সাক্ষী করা হয়েছে ৮১ জনকে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এ মামলার প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর মো: আলমগীর তদন্ত সংস্থার কমপ্লেইন রেজিস্ট্রার হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর, পূর্ববর্তী তদন্ত কর্মকর্তা মো: জানে আলমের নিকট থেকে তদন্তভার বুঝে নেন। এরপর, সংরক্ষিত ভিডিও ফুটেজ, পত্রিকার প্রতিবেদন ও বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে তদন্তে অগ্রসর হন।
তদন্তকালে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট মাসে ছাত্র ও জনতার আন্দোলন দমন, উসকানিমূলক বক্তব্য ও আদেশ-নির্দেশ প্রদান সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে সংস্থার কো-অর্ডিনেটর মো: মাজহারুল হকের সার্বিক সহায়তায় আলমগীর মামলার প্রমাণ সংগ্রহ করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ায় প্রকাশিত মন্তব্য ও পোস্ট পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়।
আন্দোলনে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও আন্দোলনকারীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয় এবং তাদের বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করে আহতদের শরীর থেকে জব্দ করা হয় বুলেট ও পিলেট।
জব্দ করা আলামতের বিবরণ
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনটি বুলেট এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে ২০টি বুলেট ও ১৬টি পিলেট জব্দ।
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫: জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল থেকে ১৯টি বুলেট, নিউরোসায়ন্স ইনস্টিটিউট থেকে একটি বুলেট ও তিনটি পিলেট, সিএমএস থেকে ১৩টি বুলেট, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দু’টি বুলেট এবং আহত সামাদ মিয়ার নিকট থেকে একটি বুলেট জব্দ।
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ : জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট থেকে ৬টি পিলেট জব্দ।
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ : রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহীদ আবু সাঈদের ফরেনসিক রিপোর্ট ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংগ্রহ।
৮ মার্চ ২০২৫: ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে তামিম ভূঁইয়ার ওপর গুলিবর্ষণের ভিডিওসহ ১২টি ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে সংস্থার লাইব্রেরিতে জমা।
১৭ মার্চ ২০২৫ : সাবেক ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের ছবিসংবলিত ২.৫০ সেকেন্ডের একটি ভয়েস বার্তা ও ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ।
এ ছাড়া, তদন্ত চলাকালে অন্য মামলায় আটক থাকা আসামি আবদুল্লাহ আল মামুনকে সিআইডি মিস কেস নং ০২-২০২৪-এর আওতায় গ্রেফতারের আবেদন করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তদন্ত কার্যালয়ে আনা হয়। ২৪ মার্চ ২০২৫ তারিখে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করতে আগ্রহ প্রকাশ করলে, তাকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করা হয়। আদালতের আদেশক্রমে ম্যাজিস্ট্রেট মো: জাকির হোসেন তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী লিপিবদ্ধ করেন।
এই মামলার তদন্তে জাতীয় নিরাপত্তা, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এখন পর্যন্ত তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি হয়েছে এবং মামলা ট্রাইব্যুনালে চলমান রয়েছে।