এইচ এম হুমায়ুন কবির কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ছে ধীরে ধীরে, কিন্তু তার প্রভাব পড়ছে সবচেয়ে দ্রুত উপকূলের মানুষের জীবনে। পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় জোয়ারভাটা, জলোচ্ছ্বাস আর নিরবচ্ছিন্ন ভাঙন এখন নিত্যদিনের আতঙ্ক। কয়েক দশক আগে যে বেড়িবাঁধগুলোকে মানুষ আশ্রয়ের প্রতীক মনে করত, সেগুলো আজ নিজেই বিপদের উৎসে পরিণত হচ্ছে। বিরামহীন বৃষ্টি ও অস্বাভাবিক জোয়ারের তোড়ে উপজেলার নীলগঞ্জ, বালিয়াতলী, চম্পাপুর, দেবপুর ও নিজামপুর এলাকার প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার বেড়িবাঁধ এখন ভাঙনের কবলে। টিয়াখালী নদীর তীরে পশ্চিম লোন্দা গ্রামে ২৫০টি পরিবার চার দশক ধরে বসবাস করছে। বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে তাদের বসতভিটা ও ২০০ একর কৃষিজমি তলিয়ে যায়। বর্ষায় চুলায় আগুন জ্বলে না, জমির ফসল নষ্ট হয়, চলাচলে একমাত্র ভরসা হয় ভেলা বা নৌকা। স্থানীয়দের দাবি, ‘মাত্র তিন কিলোমিটার টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হলে এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলত।
পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন কলাপাড়া ও ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশের উপকূলীয় সমন্বয়ক মেজবাহ উদ্দিন মান্নু বলেন, ‘বেড়িবাঁধ শুধু কয়েকটি গ্রামের নিরাপত্তার বিষয় নয়, এটি পুরো উপকূলীয় অঞ্চলের জীবন, জীবিকা ও খাদ্যনিরাপত্তার সাথে জড়িত। টেকসই বাঁধ ছাড়া উপকূল বাঁচানো সম্ভব নয়।’ পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহ আলম বলেন, ‘রাবনাবাদ নদীর পশ্চিম তীর স্বভাবতই ভাঙনপ্রবণ। আমরা করমজাতলায় জরুরি মেরামত করেছি, কিন্তু নদীর গতি-প্রকৃতির কারণে টেকেনি। নতুন বাঁধ নির্মাণের মতো জমিও নেই।



