আকাশে জয়, ভূমিতে পদক : নিভৃতে নৌবাহিনী

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান। জাপানের ওপর মার্কিন বিমানবাহিনী দু’টি পারমাণবিক বোমা ফেলে যুদ্ধের নাটকীয় অবসান ঘটায়। সেই একক পদক্ষেপ ইতিহাসকে নতুন দিকে মোড় ঘোরায়। বিমানবাহী রণতরী থেকেও হয়তো এমন হামলা সম্ভব হতো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহসিকতা ও সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নিয়েছিল বিমানবাহিনী। এক স্কোয়াড্রন যুদ্ধ শেষ করে দিয়েছিল। সে সময় স্থল বা নৌবাহিনীর আর করার কিছু ছিল না।

২০২৫ সালের মে মাসে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে গোটা পাকিস্তান এক অদৃশ্য আশঙ্কার ছায়ায় দিন কাটাতে থাকে। কেউ ভাবেন যুদ্ধ অনিবার্য, কেউ প্রার্থনা করেন শান্তির জন্য। বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমানগুলো যখন একের পর এক আকাশে উড়ে যায়, সেনাবাহিনী সীমান্তে প্রতিরক্ষামূলক মোতায়েন সম্পন্ন করে, তখন দেশবাসীর মনোযোগ আকাশ আর ভূমিতে কেন্দ্রীভূত হয়। ঠিক এ সময়ে পাকিস্তান নৌবাহিনী থেকে যায় প্রায় আড়ালে। নীরবে, নিভৃতে দায়িত্ব পালন করে যায়।

সঙ্কটকালীন পাকিস্তান বিমানবাহিনী (পিএএফ) যে সাহসিকতা, পেশাদারত্ব ও শৃঙ্খলার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। তারা ছিল দ্রুত, প্রস্তুত এবং সুসংগঠিত। তাদের ঠিক সময়ে ঠিক সিদ্ধান্তের কারণে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। জনগণ যথার্থভাবে বিমানবাহিনীকে বাহবা দিয়েছেন, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও শ্রদ্ধা অর্জন করেছে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান। জাপানের ওপর মার্কিন বিমানবাহিনী দু’টি পারমাণবিক বোমা ফেলে যুদ্ধের নাটকীয় অবসান ঘটায়। সেই একক পদক্ষেপ ইতিহাসকে নতুন দিকে মোড় ঘোরায়। বিমানবাহী রণতরী থেকেও হয়তো এমন হামলা সম্ভব হতো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহসিকতা ও সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নিয়েছিল বিমানবাহিনী। এক স্কোয়াড্রন যুদ্ধ শেষ করে দিয়েছিল। সে সময় স্থল বা নৌবাহিনীর আর করার কিছু ছিল না। তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, নৌবাহিনী কি উপেক্ষিত? এর একটি বড় কারণ হলো দৃশ্যমানতা। যুদ্ধবিমান উড়ে গেলে মানুষ দেখে, ট্যাংক চললে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। কিন্তু গভীর সমুদ্রে টহলরত একটি যুদ্ধজাহাজ, রাডারে চোখ রাখা একজন তরুণ অফিসার, তারা খবর হন না। অথচ তাদের পরিশ্রম শান্তির মূল স্তম্ভ। আরেকটি কারণ হলো, প্রকাশ্য বীরত্ব আমাদের চোখে সহজে ধরা পড়ে, কিন্তু নীরব কৌশলগত ধৈর্য প্রায় আড়ালে থেকে যায়। একজন জেনারেল যখন মঞ্চে উঠে দৃপ্তকণ্ঠে বক্তব্য দেন, সেটি নেতৃত্বের একটি দৃশ্যমান প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে সাগরের গভীরে, মধ্যরাতের নিস্তব্ধতায়, একা ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নাবিক, যিনি রাডারে চোখ রেখে বাতাসে শত্রুর সম্ভাব্য গতিপথ খোঁজেন, তার কাজটি তেমন চোখে পড়ে না

কিন্তু সঙ্কট শেষ হওয়ার পর, আশ্চর্যজনকভাবে দেখা গেল যে মূল প্রশংসা ও পুরস্কারের ঝুলি যেন চলে গেল স্থলবাহিনীর হাতে। এমনকি একজন জ্যেষ্ঠ সেনাকর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ দেয়া হয়, যা পাকিস্তানের ইতিহাসে অত্যন্ত বিরল এবং প্রতীকী একটি সম্মান। প্রশ্ন জাগে, এ গৌরব কি যথাযথ? এ প্রশ্নের পেছনে রয়েছে এক অনুল্লিখিত অধ্যায়, নৌবাহিনীর নীরব কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান। অনেকে ভুলে যান, যুদ্ধ শুধু গুলি বা বোমার মাধ্যমে হয় না; যুদ্ধের চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত অবকাঠামো অটুট রাখা। যুদ্ধের সময়ে দেশের বাণিজ্য, জ্বালানি, খাদ্য, সরঞ্জাম-সবকিছু আসে সমুদ্রপথে। সেসব রক্ষায় নৌবাহিনী থাকে প্রথম সারিতে।

২০২৫ সালের মে মাসের ওই উত্তেজনার সময় পাকিস্তান নৌবাহিনী যেসব দায়িত্ব দক্ষতার সাথে পালন করেছে তা হলো :

পাকিস্তানের সমুদ্রবাণিজ্য পথ সুরক্ষিত রাখতে ভারতীয় নৌবাহিনীকে বিশেষ করে নিজেদের সাবমেরিনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট বার্তা দেয়, পাকিস্তানও সমুদ্রে প্রস্তুত রয়েছে। এক্ষেত্রে পাকিস্তান জ্বালানি ও যুদ্ধোপযোগী রসদ সরবরাহকারী জাহাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নেয়। এসব কাজ হয়তো টিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে না, কিন্তু বাস্তবে এর প্রভাব সরাসরি যুদ্ধের চেয়ে কোনো অংশে কম নয়। যদি সে সময় পাকিস্তানের সমুদ্রপথ বন্ধ হয়ে যেত, তবে দেশটি জ্বালানি সঙ্কটে পড়ত, দ্রব্যমূল্য হু হু করে বাড়ত, জনমনে আতঙ্ক ছড়াত। যার ফলে পাকিস্তান ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ত। তখন ভারতের জন্য পাকিস্তানের ওপর বিজয় নিশ্চিত করতে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ হতো।

ঠিক এটিই ঘটেছিল ১৯৭১ সালে, যখন বাংলাদেশ নৌবাহিনীর ‘অপারেশন জ্যাকপট’ পাকিস্তানি বাহিনীর লজিস্টিক চেন ছিন্ন করে দেয়। সমুদ্র ও নদীবন্দর ধ্বংস করে শত্রুবাহিনীর রসদ সরবরাহ পুরোপুরি ব্যাহত করা হয়। এর ফলে পাকিস্তান সেনাবাহিনী গোলাবারুদ, জ্বালানি, খাদ্য ও চিকিৎসা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, সৈনিকদের মনোবল তলানিতে নেমে আসে। এই কৌশলগত বিজয় ছিল মুক্তিযুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া এক অঘোষিত বিজয়। সেই সফলতা সম্ভব হয়েছিল ফ্রান্স থেকে পালিয়ে আসা আটজন বাঙালি সাবমেরিনারের নেতৃত্বে গঠিত নৌ-কমান্ডো বাহিনীর মাধ্যমে। যদি নৌ-কমান্ডোরা তখন রসদ সরবরাহের পথ বন্ধ না করতেন, তাহলে হয়তো বিজয়ে আরো অনেক প্রাণ দিতে হতো। ভিয়েতনামের স্বাধীনতা অর্জনে যেমন দীর্ঘ ২০ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, দেশের সাধারণ মানুষের বিপুল রক্ত ঝরেছে।

পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিন প্রস্তুতি ও সতর্ক অবস্থান ভারতীয় নৌবাহিনীকে সরাসরি সরবরাহ পথে হামলার ঝুঁকি নিতে দেয়নি। এর পেছনে আরো একটি ইতিহাস কাজ করেছে, ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর, পাকিস্তান নৌবাহিনীর সাবমেরিন পিএনএস হাঙর ভারতীয় নৌবাহিনীর ফ্রিগেট আইএনএস খুকরিকে টার্পেডো দিয়ে ডুবিয়ে দেয়। এ হামলায় ১৯৪ ভারতীয় নৌসেনা প্রাণ হারান। এটি স্বাধীনতার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর সবচেয়ে বড় যুদ্ধকালীন ক্ষতি হিসেবে গণ্য হয়। তাই ২০২৫ সালের সঙ্ঘাতে ভারতীয় নৌবাহিনী সরাসরি আগ্রাসনে যায়নি। ফলে সমুদ্রপথ খোলা থাকে, জ্বালানি সরবরাহ অব্যাহত থাকে। এতে করে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ সঙ্কট তৈরি হয়নি। যুদ্ধে ভারত সুবিধা করতে পারেনি।

এই পুরো ঘটনার মধ্যে আবারো মনে পড়ে যায়, যুদ্ধ শুধু বন্দুকের নয়, লজিস্টিক এবং সাইলেন্ট স্ট্র্যাটেজিরও। ঠিক যেভাবে একাত্তরে নৌকমান্ডো বাহিনী মুক্তিযুদ্ধের গতি নির্ধারণ করেছিল, তেমনি ২০২৫-এ পাকিস্তানের নৌবাহিনীর সতর্কতা ভারতীয় পরিকল্পনা আটকে দিয়েছিল। তাই যুদ্ধের মূল মঞ্চ কখনো ভূমি, কখনো আকাশ, আবার কখনো সমুদ্র। আর যারা নীরবে, সমুদ্রের নিচে নীরবে অপেক্ষমাণ সেই ‘সাইলেন্ট সার্ভিসের’ মাধ্যমে, যারা হয়তো কামান দাগেননি, কিন্তু উপস্থিতির ভয়ে শত্রুর কৌশল পাল্টে দিতে বাধ্য করেছেন, তাদের কৃতিত্বও আমরা যেন ভুলে না যাই। এ ঘটনা প্রমাণ করে- নীরব, আড়ালে থাকা সেই সাদা-নীল পোশাক যোদ্ধারাও যুদ্ধের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন, যদি তারা ঠিক সময়ে ঠিক জায়গায় প্রস্তুত থাকেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেক যুদ্ধ আছে, যেখানে নৌবাহিনীর অপরিসীম অবদান থেকেছে ছায়ায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ নৌবাহিনী না থাকলে জার্মান সাবমেরিনের থাবায় ব্রিটেন ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ত। আধুনিক যুগে আমেরিকার নৌবাহিনী গোটা বিশ্ববাণিজ্যের সুরক্ষা দেয়। চীন নিজের নৌবাহিনী দ্রুত বিস্তৃত করেছে, কারণ সমুদ্রের নিয়ন্ত্রণ মানে অর্থনীতি ও কৌশলগত প্রভাবের দখল।

আরো এক ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান। জাপানের ওপর মার্কিন বিমানবাহিনী দু’টি পারমাণবিক বোমা ফেলে যুদ্ধের নাটকীয় অবসান ঘটায়। সেই একক পদক্ষেপ ইতিহাসকে নতুন দিকে মোড় ঘোরায়। বিমানবাহী রণতরী থেকেও হয়তো এমন হামলা সম্ভব হতো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাহসিকতা ও সিদ্ধান্তের দায়িত্ব নিয়েছিল বিমানবাহিনী। এক স্কোয়াড্রন যুদ্ধ শেষ করে দিয়েছিল। সে সময় স্থল বা নৌবাহিনীর আর করার কিছু ছিল না।

তবুও প্রশ্ন থেকে যায়, নৌবাহিনী কি উপেক্ষিত? এর একটি বড় কারণ হলো দৃশ্যমানতা। যুদ্ধবিমান উড়ে গেলে মানুষ দেখে, ট্যাংক চললে ক্যামেরায় ধরা পড়ে। কিন্তু গভীর সমুদ্রে টহলরত একটি যুদ্ধজাহাজ, রাডারে চোখ রাখা একজন তরুণ অফিসার, তারা খবর হন না। অথচ তাদের পরিশ্রম শান্তির মূল স্তম্ভ। আরেকটি কারণ হলো, প্রকাশ্য বীরত্ব আমাদের চোখে সহজে ধরা পড়ে, কিন্তু নীরব কৌশলগত ধৈর্য প্রায় আড়ালে থেকে যায়। একজন জেনারেল যখন মঞ্চে উঠে দৃপ্তকণ্ঠে বক্তব্য দেন, সেটি নেতৃত্বের একটি দৃশ্যমান প্রতীক হয়ে ওঠে। তবে সাগরের গভীরে, মধ্যরাতের নিস্তব্ধতায়, একা ডেকে দাঁড়িয়ে থাকা একজন নাবিক, যিনি রাডারে চোখ রেখে বাতাসে শত্রুর সম্ভাব্য গতিপথ খোঁজেন, তার কাজটি তেমন চোখে পড়ে না। তবু, তার সতর্কতা ও নীরব দায়িত্ববোধ হয়তো একটি বড় বিপর্যয় ঠেকিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্ব যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সেই নিঃশব্দ প্রহরীরা, যারা আলো ছাড়া, হাততালি ছাড়া, দেশরক্ষায় সমুদ্রে অটল থাকেন।

এ প্রবণতা শুধু পাকিস্তানে নয়, গোটা উপমহাদেশের বাস্তবতা। ভারতের নৌবাহিনী ক্রমশ শক্তিশালী হচ্ছে। এর লক্ষ্য ভারত মহাসাগরের কর্তৃত্ব। বাংলাদেশও বঙ্গোপসাগরের সম্পদ রক্ষা ও সমুদ্রসীমা নিরাপদ রাখতে নৌবাহিনীর আধুনিকায়ন করছে। ভবিষ্যতের যেকোনো আঞ্চলিক দ্বন্দ্বে নৌশক্তি হতে পারে গোপন কিন্তু নির্ধারক হাতিয়ার।

সুতরাং, এখন সময় এসেছে, প্রতিটি সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি সমান মর্যাদা ও মূল্যায়ন দিতে হবে। যেখানে বিমানবাহিনী আকাশ পাহারা দেয়, নৌবাহিনী নীরব সমুদ্রে পথ আগলে রাখে, তখন সম্মান ও গৌরব শুধু একটি বাহিনীর কাঁধে তোলা কি ন্যায্য? অস্বীকারের উপায় নেই, ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক যুদ্ধে পাকিস্তান সেনাবাহিনী প্রস্তুত ছিল এবং প্রয়োজনে দেশের জন্য অগ্রণী ভূমিকাও রেখেছে। কিন্তু পদক, পদোন্নতি বা জনসম্মান- এসব কেবল ঐতিহ্য বা রাজনীতির ভিত্তিতে নয়, হওয়া উচিত প্রত্যক্ষ অবদান, কৌশল ও আত্মত্যাগের নিরিখে।

পাকিস্তান বিমানবাহিনী আকাশে সাহসিকতা ও কৌশলের এক উজ্জ্বল উদাহরণ স্থাপন করেছে। সেই মুহূর্তে যুদ্ধের গতিপথ বদলেছে আকাশ থেকে, যেখানে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা এবং দ্রুত সিদ্ধান্ত হয়ে উঠেছিল বিজয়ের চাবিকাঠি। ভবিষ্যতের যেকোনো সঙ্ঘাতেও এ বাস্তবতা আরো স্পষ্টভাবে ফিরে আসবে। নৌবাহিনী, যাদের বলা হয় ‘সাইলেন্ট সার্ভিস’ তারা নিঃশব্দে ঝড় পেরিয়েছে; চোখে না পড়া অথচ অপরিহার্য দায়িত্ব পালন করেছে নিঃশব্দ সাহসে, পেশাদারত্বে এবং নিষ্ঠায়।

এখন সময় এসেছে আমরা এ নিঃশব্দ বীরত্ব ও আকাশে ঘটে যাওয়া প্রকৃত বিজয়কে স্বীকৃতি দিই। গৌরবের ভিত্তি হওয়া উচিত ত্যাগ, দক্ষতা আর প্রকৃত অবদান- ক্যামেরার ফ্ল্যাশ কিংবা বক্তৃতার গর্জন নয়। সে আলোকে বলতে হয়, পদকটি হয়তো এমন এক পোশাকে পড়েছিল, যার চেয়ে আকাশের ধূসর পোশাকটি তা আরো বেশি প্রাপ্য ছিল।

প্রকৃত বাস্তবতায় যুদ্ধ এখন সম্মিলিত প্রচেষ্টার নাম। আসুন, আমরা বিচারের ক্ষেত্রেও তা অনুসরণ করি- যেন কৃতিত্ব যায় তাদের কাছেই, যারা সত্যি তা অর্জন করেছেন।

লেখক : সাবেক সহকারী নৌবাহিনী প্রধান ও উপ-উপাচার্য বিইউপি