অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি

সরকার এবং আন্দোলনসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস ও ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনসহ মাসাধিককালব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করছে। বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও বিগত এক বছরে কিছু ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হলেও জাতির কাঙ্ক্ষিত প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে

২০২৪ সালের ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস
২০২৪ সালের ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস |নয়া দিগন্ত

জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। গণ-অভ্যুত্থানে সূচনা হয় ২০২৪ সালের ১ জুলাই সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ব্যানারে। এই ছাত্র আন্দোলনের শুরুতে সরকার পতনের লক্ষ্য না থাকলেও সরকারের দাম্ভিকতা, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে রাজাকারের সাথে তুলনা, আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেপরোয়া দমন-পীড়ন সর্বোপরি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী সরকারের বিগত ১৬ বছরের গণতন্ত্রহীনতা অর্থাৎ বিনা ভোট, রাতের ভোট ও ডামি নির্বাচন আয়োজন করে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের নাগরিকদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করে দেশবাসীর ওপর ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেয়া, ব্যাংক বীমা ও উন্নয়নের নামে সর্বত্র লুটপাট, বাকস্বাধীনতা হরণের মাধ্যমে ভয়ঙ্কর এব ভীতির রাজত্ব কায়েম, গুম-খুন ও গায়েবি মামলার মাধ্যমে চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সরকারের প্রতি দেশবাসীর ক্ষোভের প্রেক্ষিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলন সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে পরিণত করে। আন্দোলনে হাইস্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সরকারি-বেসরকারি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বুদ্ধিজীবী ও সাংবাদিকদের একটি অংশ, শ্রমিক, রিকশাচালক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী, এক কথায় ফ্যাসিবাদের দোসর ছাড়া সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বুলেট, বোমা, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ার শেল এবং ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সন্ত্রাসীদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে জেল, জুলুম, নির্যাতন ও মৃত্যুকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রাস্তায় নেমে আসে। ফলস্বরূপ টানা ৩৬ দিনের রক্তাক্ত আন্দোলনে জাতির ওপর জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা ফ্যাসিবাদী একনায়ক শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে।

জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা ও তার দোসররা ৫ আগস্ট পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়। এই আন্দোলনে এক হাজার চার শতাধিক দেশপ্রেমিক নাগরিকের মূল্যবান জীবনের আত্মোৎসর্গ ও ২০ হাজারের বেশি মানুষ পঙ্গুত্ববরণ করে। এর মধ্য দিয়ে ৮ আগস্ট নোবেল লরিয়েট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।

গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গঠিত এই সরকার গত এক বছরে গণ-অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা কতটা বাস্তবায়ন করতে পেরেছে? গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারীদের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন কতটুকু সাধিত হয়েছে তা মূল্যায়নের সময় এসেছে। আর এই মূল্যায়ন করতে গেলে প্রথমেই যে বিষয়টি সামনে চলে আসে তা হলো গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দানকারী এবং অংশগ্রহণকারীদের আকাক্সক্ষা কী ছিল।

শুরুতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের দাবি ছিল সরকারি চাকরিতে কোটাব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালের দেওয়া প্রজ্ঞাপন পুনর্বহাল। যা উচ্চ আদালত কর্তৃক অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এই কোটা সংস্কার আন্দোলনের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ ৯ দফা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল প্রধানমন্ত্রীকে জাতির কাছে ক্ষমা চাওয়া, সরকার ও দল থেকে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ, যেসব এলাকায় ছাত্রহত্যার ঘটনা ঘটেছে, সেখানকার পুলিশের ডিআইজি ও পুলিশ সুপারকে বরখাস্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরকে পদত্যাগ, নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের ক্ষতিপূরণ দাবি ইত্যাদি। এই ৯ দফায় সরকার পতনের কথা ছিল না। কিন্তু আন্দোলন ক্রমান্বয়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গের আকারে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

সব দল-মত-ধর্মের লোক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ছাত্র-জনতার বাঁধভাঙা জোয়ারের চূড়ান্ত পর্যায়ে এক দফার সরকার পতনের আন্দোলনে চূড়ান্ত বিজয় নিশ্চিত করে। যদিও সরকার পতনের পর দেশের শাসনব্যবস্থা কী হবে কিংবা কী পদ্ধতিতে সরকার গঠিত হবে, কাদের দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হবে এর কোনো পূর্ব প্রস্তুতি বা রূপরেখা ছিল না। হয়তো ১৬ বছর যাবৎ প্রশাসনের আজ্ঞাবহ ভূমিকার মাধ্যমে শেখ হাসিনা প্রশাসনে একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ গ্রহণকারী সরকারের এত দ্রুত পতনঘণ্টা বেজে উঠবে তা হয়তো আন্দোলন সংশ্লিষ্টরা অনুধাবন করতে পারেননি। ফলে ৩৬ দিনের আন্দোলনে অনেকটা আকস্মিকভাবেই আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। রাষ্ট্র হয়ে পড়ে সরকারবিহীন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দ্রুত নতুন সরকার গঠন জরুরি হয়ে ওঠে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় এই পরিস্থিতিতে বৈষম্যবিরোধী নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব, সেনাবাহিনী, সুশীলসমাজের প্রতিনিধি তিন দিন অনেক দেন-দরবারের পর কোনো বিপ্লবী সরকারের কাঠামোয় না গিয়ে প্রচলিত সংবিধানের আলোকে ৮ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের আগ্রহে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রপতির নিকট শপথগ্রহণ করেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা না থাকলেও জুলাই আন্দোলনের অংশীজনদের বক্তব্য-বিবৃতি, রাজপথের স্লোগান, দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি এঁকে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানান দিয়েছে তারা কী চায়, তাদের আকাঙ্ক্ষা। বিশেষ করে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হওয়ার পর দেশবাসীর মাঝে এক ধরনের স্বস্তির ভাব পরিলক্ষিত হয় এই ভেবে- এবার অন্তত দেশে একটি পরিবর্তন আসবে। তিনি যেভাবে রিসেট বাটন চাপ দেয়ার কথা বলেছিলেন এতে আশার সঞ্চার হয়েছিল দুর্নীতিগ্রস্ত ফ্যাসিবাদী রাজনীতি, দেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো মেরামত, দেউলিয়াত্বের পর্যায় থেকে অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধার, মানুষের হারানো ভোটাধিকার ফিরে পাওয়া এবং নাগরিকের প্রাপ্য অধিকার ফিরিয়ে দেয়া, ফ্যাসিস্ট সরকারের দমন-পীড়ন, দুর্নীতি, লুটপাটের ও সব অপকর্মের বিচার সর্বোপরি বৈষম্যের অবসান ঘটবে। আরো স্পষ্ট করে বললে, রাষ্ট্র মেরামতের যে দাবি উঠেছিল তা বাস্তবায়ন হবে। ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হয়ে গণতন্ত্রের গৌরবগাথা রচিত হবে।

একই সাথে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। নির্মিত হবে নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা নতুন বাংলাদেশ।

কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, বিগত এক বছরে গণমানুষের এই আকাক্সক্ষা থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে অবস্থান করছি। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্রের রুটিন ওয়ার্কের পাশাপাশি মোটা দাগে তিনটি বিষয়কে সামনে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। সংস্কার, ফ্যাসিস্ট ও তার দোসরদের বিচার এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে নির্বাচন।

বিগত এক বছরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার

রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের লক্ষ্যে সংবিধান, নির্বাচন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনসহ ১১টির অধিক কমিশন গঠন করেছেন। গঠন করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। কিন্তু সংস্কারের কাজে আশানুরূপ অগ্রগতি হয়নি। জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দফায় দফায় রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে বৈঠক করেও গুরুত্বপূর্ণ কিছু সাংবিধানিক ইস্যুতে রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেননি। এই ক্ষেত্রে মৌলিক সুপারিশে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। এখনো জুলাই সনদের বিষয়টি দাবি ও আশ্বাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে।

সংস্কার নিয়ে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি না হওয়ায় রাজনৈতিক অঙ্গন তথা দেশবাসীর মাঝে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব দেখা দিচ্ছে। ফ্যাসিবাদের জননী ও তার দোসরদের বিচারের মুখোমুখি করতে সারা দেশে গণহত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে এক হাজার ৭৯১টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৭০৯ আর অজ্ঞাতনামা আসামি দুই লাখ ৩২ হাজার ৮৬৩। আসামিদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা, দলের নেতাকর্মী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসর এমপি, মন্ত্রীরা রয়েছেন। ইতোমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে দুই হাজার ৯১ জন আসামি। একটি মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে সঙ্ঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠিত হয়েছে। অপর একটি আদালত অবমাননার মামলায় বিতর্কিত মন্তব্যের মাধ্যমে বিচারিক কার্যক্রমে বাধা দেয়ার অভিযোগে পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। যদিও দেশের মানুষ জুলাই ম্যাসাকারের সাথে জড়িতদের ও ফ্যাসিস্ট লুটেরাদের বিচার আরো দ্রুত প্রত্যাশা করছে।

এদিকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বয়স এক বছরের কাছাকাছি হলেও জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয়, সন্দেহ, অনিশ্চয়তা পিছু ছাড়ছে না। গত কয়েক মাস ধরে দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ সৃষ্টি করে আসছিল। সেই সময় সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক পর্যায়ে সরকার এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময়সীমার কথা উল্লেখ করেন। পরবর্তীতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরকালে গত ১২ জুন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে আনুষ্ঠানিক বৈঠকে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রশ্নে যৌথ ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছুটা স্বস্তির পরিবেশ সৃষ্টি হয়। কিন্তু জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি ইসলামপন্থী ও বামপন্থী দলের সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবি, সংস্কার নিয়ে ধীরগতি ইত্যাদি নানাবিধ কারণে সমন্বিত পরিকল্পনার অভাব এবং ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হচ্ছে না। ফলে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার বিষয়ে দেশবাসী নিশ্চিত হতে পারছে না। এই অবস্থায় সরকার এবং আন্দোলনসংশ্লিষ্ট পক্ষগুলো গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস ও ৫ আগস্টকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’ হিসেবে পালনসহ মাসাধিককালব্যাপী নানান কর্মসূচি পালন করছে। বাস্তবতা হচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন প্রতিকূলতার মাঝেও বিগত এক বছরে কিছু ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হলেও জাতির কাক্সিক্ষত প্রত্যাশা কতটা পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

লেখক : আইনজীবী