শ্রীলঙ্কার ব্যাংক কর্মকর্তাদের সম্মাননা দিলো বাংলাদেশ ব্যাংক

‘এই অনুষ্ঠানটি স্বীকৃতি প্রদানের চেয়েও বেশি কিছু। এটি নীতি, বিচক্ষণতা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।’

নয়া দিগন্ত অনলাইন
বাংলাদেশ ব্যাংক
বাংলাদেশ ব্যাংক |সংগৃহীত

২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) রিজার্ভ চুরির ঘটনায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের জালিয়াতি লেনদেন প্রতিরোধে অনুকরণীয় সতর্কতা, পেশাদারিত্ব এবং সততার জন্য শ্রীলঙ্কার প্যান এশিয়া ব্যাংকিং কর্পোরেশনের (পিএবিসি) একদল কর্মকর্তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি ও বিশেষ সম্মাননা জানিয়েছে বিবি।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের সদর দফতরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বাহারুল আলম এবং বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপাল বীরক্কোডি এবং প্যান এশিয়া ব্যাংকের সম্মাননাপ্রাপ্ত শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে চারজন ডেপুটি গভর্নর এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রধানও উপস্থিত ছিলেন।

আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানটি স্বীকৃতি প্রদানের চেয়েও বেশি কিছু। এটি নীতি, বিচক্ষণতা এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন।’

তিনি বলেন, ‘শ্রীলঙ্কার এই কর্মকর্তাদের গৃহীত সিদ্ধান্তমূলক পদক্ষেপ কেবল বাংলাদেশের আর্থিক স্বার্থই রক্ষা করেনি বরং ব্যাংকিং ব্যবস্থার অখণ্ডতার ওপর বিশ্বব্যাপী আস্থাও জোরদার করেছে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো: হাবিবুর রহমান অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথিদের স্বাগত জানান। তিনি একটি আর্থিক ক্ষতি রোধে দৃষ্টান্তমূলক ভূমিকা পালনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানটি বহুদিন ধরে প্রতীক্ষিত একদল ব্যক্তির প্রতি শ্রদ্ধা স্বরূপ, যাদের কর্মকাণ্ড বিশ্বব্যাপী আর্থিক ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং নৈতিক আচরণের মান প্রদর্শন করেছে। তাদের সততা কেবল আর্থিক সম্পদকেই সুরক্ষিত করেনি, বরং বিশ্বব্যাপী আর্থিক সম্প্রদায়কে একত্রিত করে এমন মূল্যবোধকেও শক্তিশালী করেছে।

পুলিশ মহাপরিদর্শক ড. বাহারুল আলম শ্রীলঙ্কার ব্যাংকারদের যথাযথ পরিশ্রম এবং বাংলাদেশ থেকে তদন্তকারী দল শ্রীলঙ্কায় থাকাকালীন তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে স্থায়ী অংশীদারিত্ব উদযাপন, আর্থিক নিয়ন্ত্রণ, সাইবার নিরাপত্তা এবং আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে যৌথ প্রতিশ্রুতির উপর জোর দেয়া হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার পুনঃনিশ্চয়তা এবং আর্থিক অপরাধ প্রতিরোধ, প্রযুক্তি-চালিত তদারকি এবং আন্তঃসীমান্ত নিয়ন্ত্রক সমন্বয়ের মতো ক্ষেত্রগুলোতে সহযোগিতা আরও গভীর করার অঙ্গীকারের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। বাসস