জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত

হাওরাঞ্চলে বালাইনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে স্বল্প সময়ের মধ্যে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি

সভায় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে বালাইনাশক ব্যবহারের পর্যবেক্ষণ জোরদারকরণের গুরুত্বারোপ করা হয়।

নিজস্ব প্রতিবেদক

Location :

Dhaka City
জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
জাতীয় কমিটির প্রথম সভায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার |নয়া দিগন্ত

হাওর অঞ্চলে বালাইনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে স্বল্পতম সময়ে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরিপূর্বক সমন্বিতভাবে তা বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সচিবালয়ে হাওর অঞ্চলে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ রক্ষায় কৃষিখাতে বালাইনাশক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ/সীমিতকরণে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষে গঠিত ‘জাতীয় কমিটির’ প্রথম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা হাওরের পরিবেশগত ভারসাম্য, মাছের প্রজননক্ষেত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় বালাইনাশক ব্যবহারের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন এবং বিকল্প কৃষি চর্চা প্রসারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

বক্তারা বলেন, কৃষি ও পশুপালনে ব্যবহৃত বালাইনাশক মাছসহ জলজ বাস্তুতন্ত্র, প্রাণিসম্পদ ও মানবস্বাস্থ্যে বহুমাত্রিক ঝুঁকি তৈরি করছে। বৃষ্টি ও বাতাসের মাধ্যমে বালাইনাশক নদী, খাল ও পুকুরে প্রবেশ করে মাছ মেরে ফেলছে, প্রজনন হ্রাস, খাদ্যশৃঙ্খল ব্যাহত ও পুষ্টিমান কমিয়ে দিচ্ছে। বাংলাদেশে মাছ, দুধ, ডিম ও মাংসে এ ধরনের রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ শনাক্ত হয়েছে, যা দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করছে।

সভায় কৃষকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, মাঠপর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদান, স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে বালাইনাশক ব্যবহারের পর্যবেক্ষণ জোরদারকরণের গুরুত্বারোপ করা হয়। বক্তারা এসময় শিল্প দূষণ নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত জরুরি এবং এর প্রতিকার নেয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত এ সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ফারাহ শাম্মী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দা নওয়ারা জাহান, সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার খান মো: রেজা- উন- নবী, ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার মো: মোখতার আহমেদ, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মো: জিয়াউদ্দীন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব শাহীনা ফেরদৌসী, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো: আবদুর রউফ, প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো: আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক অনুরাধা ভদ্র, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান পানি ব্যবস্থাপক মো: মাসুদ করিম, বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদফতরের পরিচালক মো: রোকন- উল- হাসান, পরিবেশ অধিদফতরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কাজী রফিকুল ইসলাম, কনজিউমারস অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশ (ক্যাব) এর সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসর ড. সৈয়দ মিজানুর রহমান, বারসিকের সমন্বয়ক মো: জাহাঙ্গীর আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।