স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ফ্রিজে, স্বামীর দায় স্বীকার

ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত
ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত |সংগৃহীত

রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় তাসলিমা আক্তারকে (৪২) হত্যার পর লাশ ডিপ ফ্রিজে রাখার অভিযোগে করা মামলায় তার স্বামী নজরুল ইসলাম (৫২) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) নজরুলকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর নজরুল স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে সেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদেকুর রহমান তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

কলাবাগান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের এসআই কামাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর বংশাল থানার নবাবপুর রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি নজরুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামি নজরুল ইসলাম ঢাকার আদাবর থানার উত্তর আদাবর এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। অন্যদিকে নিহত তাসলিমা গাজীপুর জেলার পূবাইল থানার বিন্দান গ্রামের মো: সিরাজ মিয়ার মেয়ে।

মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তাসলিম ও আসামি নজরুল ইসলামের বিয়ে হয় ২০০৪ সালে। তাদের ঘরে তিনজন কন্যা সন্তান রয়েছে। সম্প্রতি যৌতুকের দাবিতে প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করতেন আসামি নজরুল। এ নিয়ে গত পাঁচ থেকে ছয় বছর ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। নিহতের দু’ মেয়ে গত ১৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় তাদের মায়ের হঠাৎ নিখোঁজ হওয়া এবং বাবার অস্বাভাবিক আচরণে সন্দেহ প্রকাশ করে কলাবাগান থানায় অভিযোগ করে।

এরপর ওইদিন রাত ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফ্ল্যাটের একটি ডিপ ফ্রিজ থেকে তাসলিমার লাশ উদ্ধার করে। লাশে বিভিন্ন ধরনের আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের লাশ উদ্ধারের আগেই নিহত তাসলিমার স্বামী নজরুল ইসলাম পালিয়ে যায়।

এ ঘটনায় গত ১৪ অক্টোবর তাসলিমার ভাই নাঈম হোসেন কলাবাগান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় নজরুল ইসলামকে। বাসস