জামায়াতের নিবন্ধন শুনানিতে প্রধান বিচারপতি

হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম

এর আগে ১২ মার্চ থেকে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হলেও পরে সেটি আর অগ্রসর হয়নি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। |সংগৃহীত

হাইকোর্টের রায়ে রাজনৈতিক দলের রেজিস্ট্রেশন বাতিল ইতিহাসে এটাই প্রথম বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ৪ সদস্যের আপিল বিভাগে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।

এদিন আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করছেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিক। তাকে সহযোগিতা করছেন ব্যারিস্টার ইমরান আবদুল্লাহ সিদ্দিক, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। ইসির পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম।

এর আগে ১২ মার্চ থেকে জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হলেও পরে সেটি আর অগ্রসর হয়নি।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর আপিল বিভাগ জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন। ফলে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে পাওয়ার আইনি পথ উন্মুক্ত হয়।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।

এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট এক রায়ে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করেন। ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন দিয়ে দলটির নিবন্ধন বাতিল করে। এরপর জামায়াত আপিল করলেও ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রধান আইনজীবীর অনুপস্থিতির কারণে আপিল বিভাগ সেটি ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ হিসেবে খারিজ করেন।

২০২৪ সালের ১ আগস্ট সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরসহ সংশ্লিষ্ট অঙ্গ সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করলেও বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ২৮ আগস্ট সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়।