ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসন (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন, সদরপুর উপজেলা) থেকে ভাঙ্গা উপজেলাকে আলাদা করে ফরিদপুর-৫ সংসদীয় আসন কেন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি মো: মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ এ আদেশ দেন।
আগামী ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব।
আগামী জাতীয় নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জহিরুল হক শাহজাদা মিয়া, বিএনপির অঙ্গসংগঠন জিয়া শিশু-কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো: শাহ আলম রেজা, আইনজীবী এম ফাহাদ খান, ব্যবসায়ী এম এম শহিদুল ইসলাম শাহীন, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শাজাহান শিকদারসহ সদরপুর ও চরভদ্রাসনের ১৬ জন এ রিটটি করেন।
রিটের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। ওই প্রজ্ঞাপনে চরভদ্রাসন, সদরপুর ও ভাঙ্গা উপজেলাকে (দুই ইউনিয়ন বাদে) নিয়ে ফরিদপুর-৪ সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করে। এ প্রজ্ঞাপনকে চ্যালেঞ্জ করে রিটটি দায়ের করা হয়। এছাড়া রিটে জাতীয় সংসদের সীমানা নির্ধারণী আইন ২০২১-এর ৭ ধারা এবং সংবিধানের ১২৫ (ক) অনুচ্ছেদকেও চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।’
ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব আরো বলেন, ‘২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশন দু’টি সংসদীয় আসন (ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫)-কে একত্রিত করে তিনটি উপজেলার সমন্বয়ে একটি আসন (ফরিদপুর-৪) করে। তবে রিট আবেদনকারীদের কয়েকজন আগের মতো ফরিদপুর-৪ ও ফরিদপুর-৫ দু’টি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসন পুনর্বহালের জন্য আবেদন করলে নির্বাচন কমিশন তা নামঞ্জুর করে। অন্যদিকে ভাঙ্গা উপজেলার দু’টি ইউনিয়নকে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর-২ আসনের সাথে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। পরবর্তী হাইকোর্ট দুই ইউনিয়ন সরানো প্রশ্নে রুল জারি করেন। বাসস