সিএন্ডএফ অ্যাজেন্ট শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

বৈধ আয়ের তুলনায় তার নামে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া যায়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
দুদক
দুদক |ইন্টারনেট

কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) অ্যাজেন্ট মো: শামসুর রহমানের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণ ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ মঙ্গলবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো: আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের-অনুসন্ধানে দেখা যায়, শামসুর রহমান তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে মোট ৩১ কোটি ২৮ লাখ ৪৭ হাজার ৪৪৯ টাকার সম্পদ প্রদর্শন করেছেন। এর মধ্যে স্থাবর সম্পদের পরিমাণ এক কোটি আট লাখ পাঁচ হাজার ২২২ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩০ কোটি ২০ লাখ ৪২ হাজার ২২৭ টাকা।

কিন্তু অনুসন্ধান শেষে তার নামে স্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ছয় কোটি ৭৯ লাখ ৩৭ হাজার ৩৮৯ টাকা এবং অস্থাবর সম্পদ পাওয়া যায় ৫৮ কোটি এক লাখ ৫১ হাজার ৯৭ টাকা। সর্বমোট তার অর্জিত সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ৬৪ কোটি ৮০ লাখ ৮৮ হাজার ৪৮৬ টাকা। এছাড়া, পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি ৩২ লাখ ৯৮ হাজার ৮৪৪ টাকা। সব মিলিয়ে শামসুর রহমানের নিট সম্পদ পাওয়া যায় প্রায় ৯৪ কোটি ১৩ লাখ ৮৭ হাজার ৩৩০ টাকা।

অন্যদিকে, যাচাইকালে তার বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয়ের পরিমাণ পাওয়া যায় ৪১ কোটি ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৪৩৩ টাকা। ফলে বৈধ আয়ের তুলনায় তার নামে অতিরিক্ত ৫২ কোটি ৭৪ লাখ ৬৯ হাজার ৮৯৭ টাকার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ পাওয়া যায়।

এছাড়া অনুসন্ধানে আরো দেখা যায়, শামসুর রহমান তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৩৩ কোটি ৫২ লাখ ৪১ হাজার ৩৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য প্রদান করেছেন।

শামসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(২) ও ২৭(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

সূত্র : বাসস