মানবতাবিরোধী অপরাধ

শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী মামলার রায় পড়া শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু
শেখ হাসিনার মামলার রায় পড়া শুরু |সংগৃহীত

ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার পর ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এ রায় পড়া শুরু হয়। প্যানেলে অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো: শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারপতি মো: মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

এ মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে। এ মামলায় পলাতক রয়েছেন শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

এদিকে, শেখ হাসিনার রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও। নিরাপত্তার স্বার্থে রোববার সন্ধ্যার পর থেকেই দোয়েল চত্বর হয়ে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সীমিত করা হয়েছে জনসাধারণের চলাচলও।

গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) এ রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। এর আগে, গত ২৩ অক্টোবর মামলার বিচারকাজ শেষে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ রায়ের তারিখ জানানোর জন্য ১৩ নভেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। সেদিন ট্রাইব্যুনাল জানিয়েছিলেন, রায়ের এই তারিখ হবে অল্প সময়ের মধ্যে।

হত্যা, হত্যাচেষ্টা, নির্যাতন, ষড়যন্ত্র, উসকানি ও ঊর্ধ্বতন নেতৃত্বের দায় এই পাঁচটি অভিযোগে তাদের বিচার হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের বিচারের ইতিহাসে এটাই প্রথম রায়। এ মামলায় চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন, যা ২০১০ সালে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর প্রথম কোনো অভিযুক্তের রাজসাক্ষী হওয়া।