মেঘনা ব্যাংকের সাবেক পরিচালক ইমরানা জামানের ২টি শেয়ার অবরুদ্ধ

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নির্দেশে আনিসুজ্জামান নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে ৬০ কোটি টাকা জমা করেন। সেই টাকা দিয়ে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির শেয়ার কেনার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসির গুলশান শাখা থেকে এবং স্টেটফাস্ট ম্যানেজম্যান্ট ট্রেড লিমিটেড থেকে মোট ৫৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত
ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত |ইন্টারনেট

মেঘনা ব্যাংক পিএলসির সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী এবং তার দুই সহযোগীর নামে ব্যাংকে থাকা দু’টি শেয়ার অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

ইমরানা জামানের সহযোগিরা হলেন উৎপল পাল ও নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিল।

আজ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: সাব্বির ফয়েজ সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো: রিয়াজ হোসেন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আবেদনে বলা হয়েছে, ইউসিবি ব্যাংক পিএলসির সাবেক পরিচালক আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, মেঘনা ব্যাংক পিএলসির সাবেক পরিচালক ইমরানা জামান চৌধুরী, আবুল কাসেম, উৎপল পাল ও নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিল পরস্পর যোগসাজশে তাদের অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ বৈধ করার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে বিদেশে পাচার ও পুনরায় দেশে আনা এবং অবৈধ উৎস গোপন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাব ব্যবহার করে মেঘনা ব্যাংকের ৫৯ কোটি টাকা মূল্যের শেয়ার কেনেন।

এর মধ্যে প্রায় ২০ কোটি টাকার সমমূল্যের ইউএসডি ডলার সহযোগী অভিযুক্ত মো: আবুল কাসেমের মাধ্যমে তার নামীয় ইউসিবি ব্যাংক ও গুলশান কর্পোরেট শাখা থেকে আট লাখ ৮৪ হাজার মার্কিন ডলার এবং এনআরবিসি ব্যাংক প্রিন্সিপাল শাখা থেকে ১৩ লাখ ৪০ হাজার ৫১০ মার্কিন ডলার সিঙ্গাপুর ও দুবাই থেকে বাংলাদেশে আনা হয়।

পরবর্তীতে উল্লিখিত টাকা ক্যাশ চেকের মাধ্যমে ইমরানা জামান চৌধুরীর ইউসিবি ও স্টেটফাস্ট ম্যানেজম্যান্ট ট্রেড লিমিটেড নামের নামমাত্র প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব খোলার ফরম পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে উৎপল পাল এবং ডিরেক্টর হিসেবে নাসিম উদ্দিন মোহাম্মদ আদিল রয়েছেন।

অনুসন্ধানে আরো জানা যায়, উৎপল ও আদিল সাইফুজ্জামান চৌধুরীর আরামিট গ্রুপের কর্মচারী।

অন্যদিকে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের নির্দেশে আনিসুজ্জামান নগদ ও পে অর্ডারের মাধ্যমে ৬০ কোটি টাকা জমা করেন। সেই টাকা দিয়ে মেঘনা ব্যাংক পিএলসির শেয়ার কেনার জন্য কমিউনিটি ব্যাংক পিএলসির গুলশান শাখা থেকে এবং স্টেটফাস্ট ম্যানেজম্যান্ট ট্রেড লিমিটেড থেকে মোট ৫৯ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয়।

সূত্র : বাসস