মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি পৃথক মামলার আসামি ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ঢাকা সেনানিবাসের সাবজেলে পাঠানো হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছেন কারা অধিদফতরের অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো: জাহাঙ্গীর কবির।
আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণ থেকে কর্মকর্তাদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। পরে সবুজ রঙের ভ্যানটি ট্রাইব্যুনাল এলাকা ত্যাগ করে।
ট্রাইব্যুনালে শুনানি শেষে ১৫ সেনা কর্মকর্তার আইনজীবী এম. সরোয়ার হোসেন জানান, তার মক্কেলদের সাবজেলে রাখা হবে।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক মো: জাহাঙ্গীর কবির জানিয়েছেন, ১৫ সেনাসদস্যকে ঢাকা সেনানিবাসের যে সাবজেলে রাখা হবে, সেখানে এরই মধ্যে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন কর্মরত আছেন। একজন অবসরকালীন ছুটিতে।
এদিন সকাল সোয়া ৭টার দিকে কড়া নিরাপত্তায় প্রিজনভ্যানে করে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনামলে টিএফআই-জেআইসি সেলে গুম-খুন ও জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক তিনটি মামলায় হেফাজতে থাকা সেনা কর্মকর্তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। সাড়ে ৭টার দিকে প্রিজনভ্যান থেকে নামিয়ে তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তিন মামলায় শেখ হাসিনাসহ আসামি রয়েছেন ৩৪ জন। এর মধ্যে একটিতে ১৭, আরেকটিতে ১৩ ও একটিতে চারজনকে আসামি করা হয়। আর দুটিতে রয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম। তবে ২৫ সেনা কর্মকর্তার ১৫ জনই হেফাজতে রয়েছেন।
মামলা তিনটির মধ্যে দু’টি হচ্ছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে গুম-নির্যাতনের মাধ্যমে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়। অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায়।