নড়াইলের সাবেক এমপি মুক্তির জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে ঢাকার গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে কবিরুল হক মুক্তিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তার বিরূদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা হয়েছে। এছাড়া গত বছর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নড়াইলে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফরহাদ খান, নড়াইল

Location :

Narail
নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তিকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে
নড়াইল-১ আসনের সাবেক এমপি কবিরুল হক মুক্তিকে কারাগারে নেয়া হচ্ছে |নয়া দিগন্ত

নড়াইলের কালিয়া ও নড়াগাতী এলাকায় নাশকতার দায়ে হওয়া চারটি মামলায় নড়াইল-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা কবিরুল হক মুক্তির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকালে কালিয়া থানার দু’টি নাশকতা মামলায় মুক্তিকে প্রথমে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেয়া হয়। আদালতের বিচারক রত্না সাহা তার জামিন নামঞ্জুর করেন।

পরে নড়াগাতী থানায় দায়েরকৃত আরো দু’টি নাশকতা মামলায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালতে নেয়া হয়। এই আদালতেও জামিন নামঞ্জুর করে মুক্তিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক মারুফ হাসান।

এর আগে সকাল ৯টায় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে মুক্তিকে নড়াইলের আদালতে আনা হয়। তার সঙ্গে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমানকেও প্রিজনভ্যান থেকে নামতে দেখা যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯ টার দিকে ঢাকার গুলশানের নিকেতন এলাকা থেকে কবিরুল হক মুক্তিকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। তার বিরূদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা হয়েছে। এছাড়া গত বছর গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী নড়াইলে কয়েকটি মামলা দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে।

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতারের পর মুক্তির ছয়দিনের রিমাণ্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পুলিশের ১০ দিন রিমান্ড আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহ এই আদেশ দেন।

রিমাণ্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গ্রেফতারের পর মুক্তির মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা–কর্মীদের মধ্যে সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য প্রচার করছেন তিনি। এ কাজে ফেসবুক মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম ব্যবহার করেও সহিংসতা ছড়াতে প্ররোচনা দিচ্ছেন।

এছাড়া এই সাবেক এমপি ও তার স্ত্রী চন্দনা হকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

কবিরুল হক মুক্তি নড়াইল-১ আসন থেকে ২০০৮ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত বছর গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এলাকায় প্রকাশ্যে আর দেখা যায়নি তাকে। তবে গ্রেফতারের পর ১৪ অক্টোবর তাকে ঢাকা থেকে নড়াইল জেলা কারাগারে আনা হয়।