আবু সাঈদ হত্যা

সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে হাসনাত আবদুল্লাহ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিচ্ছেন; মামলার ৩০ আসামির মধ্যে ৬ জন গ্রেফতার, বাকিরা পলাতক।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় সাক্ষ্য দিতে ট্রাইব্যুনালে হাসনাত আবদুল্লাহ |সংগৃহীত

গত বছরের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে প্রথম শহীদ রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আজ সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ট্রাইব্যুনালে এসে পৌঁছান তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে সাক্ষ্য দেবেন তিনি। প্যানেলের অপর দুই সদস্য হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেয়ার কথা রয়েছে জুলাই আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর।

এর আগে, ২৭ নভেম্বর ১৮তম দিনের মতো ২১ নম্বর সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। ২৪ নভেম্বর এ মামলায় এক পুলিশ কর্মকর্তার জবানবন্দি দেয়ার কথা ছিল। তবে সাক্ষী হাজির হলেও বিশেষ কারণে নেয়া হয়নি। ২৩ নভেম্বর ২০ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন শিক্ষার্থী সাজু রায়। আবু সাঈদকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এছাড়া মৃত ঘোষণার পর পথ থেকে তার লাশটি পুলিশ কেড়ে নিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন।

এ মামলায় ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে ছয় আসামি গ্রেফতার রয়েছেন। তারা হলেন এএসআই আমির হোসেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজ। বাকি ২৪ পলাতক।