শিশু সাজিদের মৃত্যু : ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি

রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বিএমডিএ ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশে অরক্ষিত নলকূপ বন্ধসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা না নিলে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
৩২ ঘণ্টা পরে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয়
৩২ ঘণ্টা পরে শিশু সাজিদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করা হয় |ফাইল ছবি

রাজশাহীতে তানোর উপজেলায় পরিত্যক্ত একটি গভীর নলকূপের গর্তে আটকে পড়া দু’বছরের শিশু সাজিদকে ৩২ ঘণ্টা পরে উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাঠানো হয় তানোর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, সেখানে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর মৃত ঘোষণা করে।

এমন বরেন্দ্র অঞ্চলে পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যুর ঘটনায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে সাজিদের পরিবারকে পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ অরক্ষিত নলকূপ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হয়েছে।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো: মনিরুল ইসলাম মিয়া নোটিশটি পাঠান।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলায় শত শত পরিত্যক্ত ও অরক্ষিত নলকূপ জনসাধারণের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে। সম্প্রতি রাজশাহীর তানোর উপজেলার কোয়েলহাট পূর্ব পাড়া গ্রামে একটি পরিত্যক্ত নলকূপে পড়ে শিশু সাজিদের মৃত্যু হয়, যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলা ও প্রশাসনিক উদাসীনতার স্পষ্ট প্রমাণ।

নোটিশে সংবিধানের ৩১ ও ৩২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে ১৫ দিনের মধ্যে একাধিক নির্দেশনা বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়েছে।

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- সব পরিত্যক্ত নলকূপ চিহ্নিত করে জরিপ, রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে সিল ভরাট বা স্থায়ীভাবে বন্ধকরণ, অবৈধ নলকূপ খননে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা, নিরাপদ নলকূপ ব্যবস্থাপনায় মানসম্মত কার্যপ্রণালি প্রণয়ন, অননুমোদিত নলকূপ স্থাপনা রোধে কঠোর নজরদারি এবং দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জানানো হয়, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না হলে বিষয়টি জনস্বার্থ মামলা হিসেবে হাইকোর্ট ডিভিশনে দায়ের করা হবে।