ভারতে গ্রেফতার আবু সাঈদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামানকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের বসিরহাট মহাকুমা আদালত।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) বাংলাদেশ পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে আটক করে বলে জানা যায়। তবে আপাতত তিনি সাসপেন্ড আছেন। এই বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তা অবৈধভাবে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় হাকিমপুর সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে আটক করা হয়েছিল তাকে। পরে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার ওই বাংলাদেশী পুলিশ কর্মকর্তার নাম আরিফুজ্জামান।
আরিফুজ্জামানকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে বসিরহাট মহকুমা আদালত।
এদিকে জানা গিয়েছে, আরিফুজ্জামানের বিষয়ে কূটনৈতিক পর্যায়ে তথ্য আদানপ্রদান শুরু করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। এই আবহে আপাতত জেলেই থাকবেন তিনি। পুলিশ জানায়, তাদের যা জানার, তা তারা ইতিমধ্যেই জেনে নিয়েছেন।
গ্রেফতার আরিফুজ্জামান ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত এপিবিএন২-এর সহকারী পুলিশ সুপার পদে কর্মরত ছিলেন। এর আগে তিনি রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তবে ইউনুস সরকার গঠনের পর কাউকে কিছু না জানিয়েই আত্মগোপন করেছিলেন তিনি। এই আবহে তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল পুলিশ থেকে।
আরিফুজ্জামানের বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা ও দু’টি হত্যাচেষ্টার মামলা রয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আবু সাঈদ হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত অভিযুক্ত তিনি। এই আবহে মাসের পর মাস সাতক্ষীরায় গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এরপর গত ২৩ আগস্ট ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস