জুলাই গণঅভ্যুত্থান চলাকালে কারফিউ জারি এবং ছাত্র-জনতাকে হত্যার উসকানি দেয়ার অভিযোগে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন। শুনানির এক পর্যায়ে নিজেদের বিতর্কিত ফোনালাপের অডিও রেকর্ড শুনে তাদের হাসতে দেখা যায়।
আজ দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো: গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জুলাই আন্দোলন দমনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট পাঁচটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পড়ে শোনান।
প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে একটি অডিও রেকর্ড আদালতে বাজানো হয়। সেখানে আনিসুল হককে সালমান এফ রহমানের সাথে আলাপকালে আন্দোলনকারীদের ‘শেষ করে দেয়ার’ এবং কারফিউ জারির কথা বলতে শোনা যায়।
অভিযোগ পাঠ এবং নিজেদের মধ্যকার অডিও কথোপকথন বাজানোর সময় দুই আসামিকে নিবিষ্ট মনে নিচের দিকে তাকিয়ে হাসতে দেখা যায়। এসময় তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলছিলেন। তবে প্রসিকিউটর যখন তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরুর আহ্বান জানান, তখন তাদের প্রতিক্রিয়ায় পরিবর্তন আসে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আদালতকে জানান, এই দুই প্রভাবশালী ব্যক্তি ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে নজিরবিহীন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। অডিও রেকর্ডে তাদের পরিকল্পনা ও উসকানির বিষয়টি স্পষ্ট প্রমাণিত।
গত ৪ ডিসেম্বর সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করেছিল প্রসিকিউশন। সোমবার শুনানি শেষে আদালত অভিযোগগুলো আমলে নেন।
জুলাই মাসের সেই গণঅভ্যুত্থানে কয়েক শ’ মানুষের মৃত্যু হয়, যার জেরে দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করেন।



