ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যা : তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

আদালতে টিটন গাজী, মো: আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি
ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনায় তিনজনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি |সংগৃহীত

রাজধানীর পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী মো: সোহাগকে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামি দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তারা হলেন টিটন গাজী, মো: আলমগীর ও মনির ওরফে লম্বা মনির।

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় তারা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: মনিরুজ্জামান।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো: মনিরুল ইসলাম আসামি টিটন গাজী, ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ এহসানুল ইসলামের আদালতে আসামি আলমগীর ও ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদের আদালতে আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি শেষে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত ।

গত ৯ জুলাই সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেট-সংলগ্ন রজনী ঘোষ লেনে পাকা রাস্তার ওপর একদল লোক ভাঙারি ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে এলোপাতাড়িভাবে আঘাত করে, কুপিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁলতে নৃশংসভাবে হত্যা করে।

ওই ঘটনায় পরের দিন ১০ জুলাই নিহতের বড় বোন মঞ্জুয়ারা বেগম ১৯ জনের নামে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামি করা হয়।

নিহত মো: সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে।

তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। বাসস