জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সাভারের আশুলিয়ায় গুলি করে হত্যার পর ছয়জনের লাশ পোড়ানোসহ সাতজনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ১৪তম সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে।
শহীদ ওমর ফারুকের বাবা চান মিয়া ১৪তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। পরে তাকে জেরা করেন পলাতক আসামিদের পক্ষের স্টেট ডিফেন্স ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ অক্টোবর দিন ধার্য করেছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার। সাথে ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সোবহান তরফদার।
এই মামলায় গ্রেফতার আট আসামির মধ্যে সাতজন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তবে এসআই শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করেছেন। বিষয়টি ট্রাইব্যুনাল গ্রহণ করেছেন। তবে রাজসাক্ষী হতে তার আবেদনের বিষয়ে ট্রাইব্যুনাল কোনো আদেশ দেননি।
গত ২ জুলাই এই মামলায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) আমলে নেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-২।
এরমধ্যে গ্রেফতার আট আসামি ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তারা হলেন ঢাকা জেলার সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো: আব্দুল্লাহিল কাফী, ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো: শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, এসআই শেখ আবজালুল হক ও কনস্টেবল মুকুল।
আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর ঘটনায় মামলা দায়েরের পর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যার পর, লাশগুলোকে পুলিশ ভ্যানে রেখে আগুন লাগিয়ে দেন পুলিশ সদস্যরা। যখন এসব লাশে আগুন দেয়া হচ্ছিল, তখন একজন জীবিত থাকা অবস্থায় তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয়া হয়।’
নৃশংস এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়।
সূত্র : বাসস