সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনের জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজা ও বিচারপতি রেজাউল করিমের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ চার সপ্তাহের রুলসহ ছয় মাসের জামিন আদেশ দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আলী আহমেদ খোকন।
গত ২৮ আগস্ট বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির একটি প্রোগ্রাম থেকে লতিফ সিদ্দিকী, সাংবাদিক পান্না, অধ্যাপক কার্জন ও আব্দুল্লাহীল কাইউমসহ ১৬ জনকে আটক করা হয়।
পরদিন শাহবাগ থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
এই মামলার বিবরণীতে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মুছে ফেলার গভীর ষড়যন্ত্র ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতি বন্ধের লক্ষ্যে গত ৫ আগস্ট ‘মঞ্চ ৭১’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটে। এ সংগঠনের উদ্দেশ্য জাতির অর্জনকে মুছে ফেলার সব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে বাংলাদেশের জনগণকে সাথে নিয়ে আত্মত্যাগের প্রস্তুতি নেয়া।
প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত ২৮ আগস্ট সকাল ১০টায় একটি গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেগুনবাগিচায় বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠান শুরু হয়।
এর মধ্যেই এক দল ব্যক্তি হট্টগোল করে স্লোগান দিয়ে সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। এক পর্যায়ে তারা অনুষ্ঠানস্থলের দরজা বন্ধ করে দেন এবং সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।
হট্টগোলকারীরা গোলটেবিল আলোচনার ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেন এবং আলোচনায় অংশ নেয়াদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। এক পর্যায়ে অতিথিদের অনেককেই বের করে দেয়া হলেও, আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ও অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা।
পরে পুলিশ এসে ১৬ জনকে আটক করে। এ ঘটনায় শুক্রবার রাজধানীর শাহবাগ থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা করেন এসআই আমিরুল ইসলাম।
পরবর্তীতে এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
সূত্র : বাসস



