ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি

ছাত্র সমন্বয়কদের আটকের বিপক্ষে ছিলাম : দাবি সাবেক আইজিপি মামুনের

ট্রাইব্যুনালকে তিনি জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হারুন রশীদকে সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন
মঙ্গলবার ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন |সংগৃহীত

জুলাই গণ-অভ্যুত্থান চলাকালীন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের আটকের প্রস্তাব দিয়েছিল প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতর বা ডিজিএফআই, তবে সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিলেন বলে জবানবন্দি দিয়েছেন পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ এই জবানবন্দি দেন তিনি।

জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এক মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সাথে আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।

তিনি এই মামলায় দোষ স্বীকার করে নিয়ে ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হয়েছেন। মঙ্গলবার এই মামলার ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।

ট্রাইব্যুনালকে তিনি জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের তৎকালীন প্রধান মোহাম্মদ হারুন রশীদকে সমন্বয়কদের আটকের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল।

২০২৪ সালের জুলাইয়ে আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সারা দেশে সেনা মোতায়েন করা হয়। এরপর ১৯ জুলাই থেকে প্রায় প্রতি রাতে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের ধানমন্ডির বাসায় কোর কমিটির বৈঠক হতো।

বৈঠকে তাদের আন্দোলন দমনসহ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন নির্দেশনা দেয়া হতো বলে জবানবন্দিতে জানান চৌধুরী মামুন।

কোর কমিটির একটি বৈঠকেই সমন্বয়কদের আটকের সিদ্ধান্ত হয়। ডিজিএফআই এই প্রস্তাব দিলেও তিনি বিরোধিতা করেছিলেন বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেন।

কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে তিনি রাজি হওয়ার পর আটকের দায়িত্ব ডিবিকে দেয়া হয় বলে জানান চৌধুরী মামুন।

সাবেক আইজিপি মামুনের জবানবন্দি দানের পর এক ব্রিফিংয়ে চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, ‘তার এ জবানবন্দি অকাট্য দলিল।’