দু’টি হত্যাসহ তিন মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ২০ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী এলাকায় গার্মেন্টসকর্মী মিনারুল ইসলাম (২৯) পেটে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট নারায়ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির ভাই নাজমুল হক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ১৩২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৪০০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। মামলার এজাহারে সেলিনা হায়াতের নাম ১২ নম্বরে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি।
এছাড়া গত ২০ জুলাই আন্দোলনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের সামনে রিকশাচালক মো: তুহিন মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় গত বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর নিহত ব্যক্তির স্ত্রী আলেয়া আক্তার সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নজরুল ইসলাম বাবু, কায়সার হাসনাত, গোলাম দস্তগীর গাজী, সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩০০ জনকে আসামি করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন।
এ ছাড়া আন্দোলনে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা হকার নাদিম হত্যা চেষ্টা মামলায় সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎসহ ৬৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করেন নিহতের বাবা দুলাল হোসেন। ওই মামলায় আইভী এজাহারভুক্ত ৯ নম্বর আসামি।
গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগের চুনকা কুটিরের বাড়ি থেকে পুলিশ আইভীকে গ্রেফতার করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরকসহ মোট ছয়টি মামলা রয়েছে। তাকে চারটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর থেকে আইভী কাশিমপুর কারাগারে বন্দী আছেন।