রাবি প্রতিনিধি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১০ সালের ছাত্রলীগ কর্মী ফারুক হত্যা মামলায় ১০৫ আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১২ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১২টায় রাজশাহী মহানগর অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক মো. জুলফিকার উল্লাহ এই রায় দেন।
আদালতের সহকারী সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) কানিজ ফাতিমা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ১০৫ জন আসামির মধ্যে ৫-৬ জন মারা গেছেন। বাকিদের বিচার শুরু হয়। তবে সাক্ষী বা প্রত্যক্ষদর্শী যারা ছিলেন তারা কারো নাম নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি। একজন সিঙ্গেল ব্যক্তির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে পারেননি তারা। ফলে এই মামলার সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
২০১০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে ছাত্রলীগ বিশ্ববিদ্যালয়ের হল থেকে ছাত্রশিবিরকের কর্মীদেরে উৎখাত করতে গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে ফারুক হোসেন নামে ছাত্রলীগের এক কর্মীর লাশ ম্যানহোলে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম অপু বাদী হয়ে ৩৫ জন জামায়াত ও ছাত্রশিবির নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করে নগরীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর ২০১২ সালের ২৮ জুলাই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান আদালতে ১২৬৯ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে জামায়াতের তৎকালীন আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদ, নায়েবে আমির ও ধর্মীয় আলোচক মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, রাজশাহী মহানগরীর তৎকালীন আমির আতাউর রহমান, রাবি ছাত্রশিবিরের সভাপতি শামসুল আলম গোলাপ, সেক্রেটারি মোবারক হোসেন, নবাব আব্দুল লতিফ হল শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাসমত আলী, শহীদ হবিবুর রহমান হল সভাপতি রাইজুল ইসলাম, শিবিরকর্মী রুহুল আমিন ও বাপ্পীসহ ১১০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। তবে বিভিন্ন সময় ৫ জন মারা যাওয়ায় বাকি ১০৫ জন অভিযুক্তের বিচারকার্য চলমান ছিল।