মাগুরার বহুল আলোচিত আট বছর বয়সী শিশু ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ইতোমধ্যে বাদিসহ তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলাটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করার জন্য সাক্ষী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন সাক্ষ্যগ্রহণ চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, রোববার আসামিদের উপস্থিতিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমে মামলার বাদিকে জবানবন্দি শেষে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী সোহেল আহম্মেদ জেরা করেন। পযায়ক্রমে আদালতে হাজির ১ ও ২ নম্বর সাক্ষী জলি খাতুন ও রুবেলকে জবানবন্দি শেষে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী। আদালত আগামীকাল (সোমবার) পরবর্তী ৩,৪ ও ৫ নম্বর সাক্ষীদের হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের গঠিত পাঁচ সদস্যের আইনজীবী প্যানেলের আহ্বায়ক শাহেদ হাসান টগন বলেন, মামলায় আসামিদের আবেদনে লিগ্যাল এইড থেকে সিনিয়র আইনজীবী সোহেল আহমেদকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। শিশু ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দ্রুত বিচার কাজ শেষ হলে সারাবিশ্বে একটি নজির সৃষ্টি হবে।
রোববার আদালতে যে দু’জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন নিজনান্দুয়ালী মাঠ পাড়া এলাকার হিটু শেখের প্রতিবেশী। সাক্ষী জলি খাতুনকে সাথে নিয়ে হিটু শেখের স্ত্রী জাহেদা বেগম জ্বিনের আছর পড়েছে বলে শিশুটিকে নিয়ে ‘হুজুরের’ কাছে যান।
সাক্ষী রুবেল হোসেনও হিটু শেখের প্রতিবেশী, নিজনান্দুয়ালী মাঠ পাড়ার বাসিন্দা। রুবেল হোসেন পেশায় ভ্যানচালক। তার ভ্যানে নিয়ে ওই দিন শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নিয়ে ভর্তি করা হয়।
৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ শিশুটিকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শিশুটির মা মামলা দায়ের করে।