পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাকারী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত : ভূমি উপদেষ্টা

প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশে কৃষি জমি কমছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার
ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার |বাসস

ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এমন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা উচিত।

তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে এবং অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে বাংলাদেশে কৃষি জমি কমছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য একটি বড় হুমকি।

আজ বুধবার ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে কেন্দ্রীয় ভূমি বরাদ্দ কমিটির অনুষ্ঠিত ১৫০তম সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমি উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা এই সময় আরো বলেন, রাষ্ট্রের অনেক প্রকল্পের জন্য কৃষি জমি ব্যবহার হচ্ছে। এর ফলে কৃষি জমি কমছে। আবার রাস্তাঘাট টার্মিনালসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রিয় উন্নয়ন কাজে কৃষি জমি প্রয়োজন হচ্ছে। তাই অন্যকাজে কৃষি জমির ব্যবহার যতদূর সম্ভব কমাতে হবে।

তিনি বলেন, সকল প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে পরিবেশের অনুশাসন অবশ্যই মেনে চলতে হবে। প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে অবশ্যই পরিবেশ ছাড়পত্র নিতে হবে, কারণ বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ অনুযায়ী, কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান স্থাপন বা প্রকল্প গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদফতর থেকে পরিবেশ ছাড়পত্র গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক। এই ছাড়পত্র পেতে হলে প্রকল্প শুরুর আগে পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ সমীক্ষা (ইআইএ) অনুমোদন নিতে হবে এবং সকল পরিবেশগত মান পূরণ করতে হবে।

সভায় বলা হয়, দিনাজপুর জেলার ‘পাওয়ার গ্রিড নেটওয়ার্ক স্ট্রেংদেনিং প্রজেক্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন ‘বড়পুকুরিয়া (উত্তর) ২৩০ কেভি সুইচিং উপকেন্দ্রটি উচ্চ ভোল্টেজে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলাধীন দর্গাপাড়া মৌজার ২৩ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন পরবর্তী সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের আলোচনা হয়। প্রকল্পে প্রশাসনিক অনুমোদনকৃত ভূমির পরিমাণ তিন শ’ ৪১ দশমিক আট একর।

পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলার সিরাজদিখান উপজেলাধীন ছয়টি এবং শ্রীনগর উপজেলাধীন একটি মোট সাতটি মৌজায় এক শ’ ১৬ দশমিক পাঁচ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন করে কমিটি।

ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প: সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর) সিলেট তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পার্শ্বে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের সিলেট জেলার ওসমানীনগর উপজেলাধীন আতাউল্যা, দয়ামীর, খয়েরপুর উত্তর ও রাইকদাড়া মৌজার সর্বমোট ১০ দশমিক ৬৭ একর ভূমি অধিগ্রহণের চূড়ান্ত অনুমোদন করে কমিটি।

কুমারগাঁও-বাদ্যাঘ্যাট-এয়ারপোর্ট সড়ককে জাতীয় মহাসড়ক চার-লেনে উন্নীতকরণ (এক্সেললোডসহ) শীর্ষক প্রকল্পের সিলেট জেলার সদর উপজেলাধীন বড়শালা মৌজার ২২ দশমিক ০৬ একর ভূমি চূড়ান্ত অনুমোদন করে কমিটি।

সভায় উপস্থিত ছিলেন ভূমি মন্ত্রণালয় সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ, মো: এহছানুল হক, সিনিয়র সচিব সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, ড. ফারহিনা আহমেদ, সচিব পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, এমদাদ উল্লাহ মিয়ান, কৃষি সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম, সচিব রেল মন্ত্রণালয়সহ ভূমি মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সূত্র : বাসস