ঢাকার বাতাস আজও ‘মাঝারি’, দূষণে শীর্ষে কিনশাসা

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ষোড়শ স্থানে এসেছে ঢাকা। আর তালিকার শীর্ষে কঙ্গোর কিনশাসা।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ঢাকা
ঢাকা |সংগৃহীত

আজ বৃহস্পতিবার, সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস। অন্য যেকোনো দিনের তুলনায় রাজধানী ঢাকা আজ অনেক বেশি ব্যস্ত। সকাল থেকে চোখে পড়ে শহরের বিভিন্ন সড়কে যানজট, নানা গন্তব্যে মানুষের ছুটে চলা আর চারিদিকে ধুলাবালি। এতে গতকালের তুলনায় আজ ঢাকার বাতাসে দূষণের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাতাসের একিউআই স্কোর ছিল ৮২। এই স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকার ষোড়শ স্থানে উঠে এসেছে ঢাকা।

গতকাল একই সময়ে ঢাকার স্কোর ছিল ৬০। ওই স্কোর নিয়ে দূষিত শহরের তালিকায় ৩৯তম স্থানে ছিল শহরটি।

বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, গতকালের মতো আজও ঢাকার ‘মাঝারি’ পর্যায়ে থাকলেও বেড়েছে দূষণের পরিমাণ। শহরটির বাতাস আজ ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হয়ে ওঠা থেকে খুব বেশি দূরে নেই।

একই সময়ে পাকিস্তানের লাহোর ও ভারতের দিল্লির বাতাসের মানও ‘মাঝারি’ পর্যায়ে ছিল। দিল্লির একিউআই স্কোর ৯৬ এবং লাহোরের একিউআই স্কোর ছিল ৮৯।

এদিকে, এ সময়ে তালিকার শীর্ষে ছিল কঙ্গোর কিনশাসা। শহরটির বাসিন্দাদের আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসে শ্বাস নিতে হচ্ছে। কারণ কিনশাসার একিউআই স্কোর আজ ১৫৫। এছাড়া, ১৪৯ ও ১৪৪ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ ও উগান্ডার কাম্পালা।

চীনের বেইজিং আজও চতুর্থ স্থানেই রয়েছে। তবে গতকালের তুলনায় দূষণ বেড়েছে। গতকাল এই সময়ে শহরটির একিউআই স্কোর ছিল ১০২, আজ সকালে তা বেড়ে হয়েছে ১৩৪।

কণা দূষণের এই সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেয়া হয়।

তবে এই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।

বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।

সূত্র : ইউএনবি