নিম্নচাপের প্রভাবে বেড়েছে পানি। সুন্দরবনে স্বাভাবিক জোয়ারের তুলনায় আড়াই থেকে তিন ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র করমজল।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) জোয়ারে সুন্দরবনের দুবলার চরে স্বাভাবিকের তুলনায় তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।
নিম্নচাপের প্রভাবে সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে এতে বনের ও বন্যপ্রাণীর ক্ষতির তেমন কোনো আশঙ্কা নেই। কারণ ভাটায় আবার এ পানি নেমে যাবে। এদিকে অস্বাভাবিক জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে মোংলার নিম্নাঞ্চল। বিশেষ করে পশুর ও মোংলা নদীর পাড়ের জয়মনি, চিলা, কলাতলা ও বুড়িরডাঙ্গা এলাকার নিচু এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।
সুন্দরবনের দুবলা টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: খলিলুর রহমান বলেন, ‘বুধবার (২৮ মে) থেকেই সাগর প্রচন্ড উত্তাল হয়ে ওঠেছে। বইছে ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টিপাত। বৃহস্পতিবারের জোয়ারে দুবলার চরের সুন্দরবনে তিন ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আর সুন্দরবনের মাছ ধরার জেলেরা নিরাপদে রয়েছেন।’
করমজল বন্যপ্রাণী ও পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আজাদ কবির বলেন, ‘করমজলে স্বাভাবিকের তুলনায় আড়াই ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে পর্যটন কেন্দ্রের পায়ে হাঁটার পথ তলিয়ে গেছে। তলিয়েছে সুন্দরবনও। তবে পানি বাড়লেও এখানকার বন্যপ্রাণীর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। কারণ ঘণ্টা দু’য়েক পর পানি নেমে যাবে। আর বন্যপ্রাণীর যাতে ক্ষতি না হয় সেজন্য বনের অভ্যন্তরের বিভিন্ন জায়গা উচু টিলা করা রয়েছে। পানি বাড়লে বন্যপ্রাণীরা সেখানে আশ্রয় নিয়ে থাকে।’
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কুমার স্বস্তিক বলেন, ‘নিম্নচাপে মোংলার পশুর নদীর পানি স্বাভাবিকের তুলনায় দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর ক্ষেত্র বিশেষ সুন্দরবনে পানি বেড়েছে আড়াই থেকে তিন ফুট।’