নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলা উপকূলের নদ-নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। ফলে এখানকার নৌপথের ডেঞ্জার জোনের ১০ রুটের নৌযান চলাচল বন্ধ রেখেছে বিআইডব্লিউটিএ। তাছাড়া টানা বর্ষণ ও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় জেলা ভোলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় এ জেলায় ১০০.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভোলা আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক মো: মনিরুজ্জামান।
এদিকে ভারী বর্ষণ ও প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। জেলা শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলাগুলোর শহর-জনপদের অবস্থাও বেহাল।
এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
রিকশাচালক, দিনমজুর ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক এলাকায় মানুষজনকে ঘর থেকেও বের হতে বেগ পেতে হচ্ছে।
ভোলা আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপের কারণে উপকূলের চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ভোলা বিআইডব্লিটিএ সহকারী পরিচালক মো: রিয়াদ হোসেন বাসস’কে বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর, চরফ্যাশন-মনপুরা, তজুমদ্দিন-মনপুরা, দৌলতখান-আলেকজেন্ডার রুটসহ ১০টি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি ভোলা-বরিশাল ও ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌ-রুটের সকল ফেরি চলাচলও বন্ধ থাকবে।
এদিকে নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে আজ ভোররাত থেকে প্রবল ঘূর্ণিবাতাস ও ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির কারণে উপকূলের নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত পরিবার।