গৌতম গম্ভীরের জামানায় সাদা বলের ক্রিকেটে সাফল্য পেলেও লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের পরিসংখ্যান খুবই খারাপ। ২০২৪-এর প্রথমার্ধ থেকে ধরলে ভারত যত টেস্ট জিতেছে তার চেয়ে বেশি হেরেছে। সেই পরিসংখ্যান আরো খারাপ হয়েছে ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর। ৫৩ বছর পর নিজেদেরই লজ্জার রেকর্ড স্পর্শ করেছে ভারত।
ফুটবলেও ভারতের অবস্থাটা খুব একটা ভালো নয়। ২২ বছর পর বাংলাদেশের কাছে হেরেছে ভারত। ২০০৩ সালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে মতিউর রহমান মুন্নার গোল্ডেন গোলে ভারতকে ২-১ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তার পর থেকে আর কখনোই জিততে পারেনি টাইগাররা। এবার তাদের সাথেও হেরেছে ভারত। কয়েক দিনের ব্যবধানে ক্রিকেট-ফুটবল দুই খেলাতেই লজ্জার রেকর্ড গড়ল প্রতিবেশীরা।
গত ১৩ মাসে দেশের মাটিতে মাত্র দু’টি টেস্ট জিতেছে ভারত। হেরেছে চারটিতে। গত ৫৩ বছরে কখনো এই রেকর্ড হয়নি। শেষবার ১৯৬৯-১৯৭২ সালের মধ্যে এই রেকর্ড দেখা গিয়েছিল। ভারত ছয়টির মধ্যে চারটি টেস্ট হেরেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের কাছে। তখন অনেক ম্যাচে জাতীয় দলকে খেলতে হয়েছে কোচ ছাড়াই। তার পর থেকে দেশের মাটিতে ভারতকে বরাবরই অপ্রতিরোধ্য হিসাবে ধরা হত। তা ভেঙে গেছে গতবছর নিউজিল্যান্ডের কাছে চুনকামের পর থেকে।
গত এক বছরে ভারত কেবল ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টেস্টে হারিয়েছে। গতবছরের সেপ্টেম্বরের হিসাব ধরলে বাংলাদেশকেও দু’টি টেস্টে হারিয়েছে। এছাড়া তারা হেরেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। ঘূর্ণি পিচ বানিয়ে নিজেদের অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছে নিজেরাই।
গম্ভীর টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের মতো টেস্ট দলেও অলরাউন্ডার বেশি নেয়ার প্রবণতা দেখাচ্ছেন। ফলে বিষয়টি ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে। সাই সুদর্শন, দেবদত্ত পাড়িক্কলের ওপর আস্থা দেখাতে পারছেন না। সরফরাজ খানকে দলেই নেয়া হচ্ছে না। ঘূর্ণি পিচের সুযোগ ভারতের চেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছে বিপক্ষ দল। নিজেদের দেশের পিচই বুঝতে পারছেন না ভারতীয় বোলাররা।
ফুটবলে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৮৩ নম্বরে থাকা দেশের বিপক্ষেও ভারত হার বাঁচানোর জন্য খেলেছে। আইনি জটিলতা কাটিয়ে বাংলাদেশ নিয়মিত হামজা চৌধুরীকে খেলাচ্ছে। ভারত সেখানে রায়ান উইলিয়ামসকে নাগরিকত্ব দিয়েও ফিফা এবং এএফসির ছাড়পত্র না আসায় খেলাতে পারেনি। মাঠের বাইরের মতো ভারতের খেলাতেও ছিল না কোনো পরিকল্পনা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ৪৭ ধাপ পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের বিপক্ষে সামনে শুধু রহিম আলিকে রেখে এক স্ট্রাইকারে দলকে খেলান খালিদ। এত রক্ষণাত্মক রণকৌশলে কোনো লাভ হয়নি। মহেশ সিং, মোহাম্মদ সানান, ব্রাইসন ফার্নান্দেসকে শুরু থেকে খেলাননি। খালিদ দলে ডাকেননি মোহনবাগানের কোনো ফুটবলারকে। ফলে বাংলাদেশের সামনে লড়াই করতেই পারেনি ভারত।



