আগের ম্যাচেই হয় ওয়ানডে অভিষেক, তবে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি তানভীর ইসলাম। কিন্তু গতরাতে তানভীর হয়ে উঠেন দলের দুঃসময়ের কান্ডারী, করেন বাজিমাত। ৫ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি হয়েছেন ম্যাচ সেরাও।
অথচ শুরুটা মোটেও আশাজাগানিয়া ছিলো না। প্রথম দুই ওভারেই দিয়ে বসেন ২২ রান। দলের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনারের এমন বেহাল দশায় তখন ভয় পেয়ে যান অনেকেই। ভয় পান তানভীর নিজেও।
এই সময় তানভীরের কাছে ছুটে আসেন অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। তবে খুব বেশি কিছু বলেননি, বলেছেন শুধু ‘তুমি পারবে।’
‘বোলাররাই মার খায়। তুমি পারবে। রক্ষণাত্মক বোলিং করার দরকার নেই। উইকেট নেওয়ার বল করো।’-এই মন্ত্রটাই যেন বদলে দেয় তানভীরকে। অধিনায়কের থেকে লাইসেন্স পেয়ে আর থামেননি তিনি।
শ্রীলঙ্কার ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে আক্রমণ চালিয়ে যান তানভীর। সাহসী বোলিংয়ে আসে সফলতাও, একটা একটা করে পেয়ে যান ৫ উইকেট। তার ৩৯/৫ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশী কারো সেরা বোলিং ফিগার।
শুধু তানভীর নয়, গতকাল (শনিবার) কলম্বোতে শ্রীলঙ্কাকে ধসিয়ে দিতে বড় ভূমিকা ছিল শামীম হোসেনেরও। তার নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়েই ২৪৮ রান তুলেও ১৬ রানে জিতে যায় বাংলাদেশ। ৯ ওভারে মাত্র ২২ রান দেন তিনি।
অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ ম্যাচশেষে প্রশংসা করেন তাদেরও। বলেন,‘শামীম খুব ভালো বল করেছে। ওদের অধিনায়কের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটা নিয়েছে। এই ধরনের উইকেটে খেলা ধরে রাখতে হলে উইকেট দরকার। আর সে সেটা দারুণভাবে করেছে।’
জয়টা অবশ্য হঠাৎ কঠিন করে তুলেন জানিথ লিয়ানগে। ম্যাচটা নিয়েও যান হাতের মুঠোয়। তবে মোস্তাফিজ হয়ে উঠেন আরো একবার ত্রাতা, যেমন করে আটকে রাখেন রান, তেমনি লিয়ানগেকেও তিনিই ফেরান।
ম্যাচশেষে মোস্তাফিজ বন্দনা ছুটলো স্বয়ং লিয়ানগের মুখেই। ৮৫ বলে ৭৮ রান করা এই ব্যাটার বলেন, ‘আমরা জানি, মোস্তাফিজ কতটা ভালো বোলার। আইপিএলে খেলে, অভিজ্ঞ বোলার। তাকে খেলা সব সময়ই কঠিন। আমি তার বলে ঝুঁকি নিতে চাইনি। মোস্তাফিজকে কৃতিত্ব দিতেই হবে।’