ভারতের বিপক্ষে গত ২২ বছরে কোনো জয় নেই বাংলাদেশের। তবে এবার এসেছে সেই উপলক্ষ, ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে মিলেছে সুযোগ। ইতোমধ্যে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশের পোস্ট লক্ষ্যে একের পর এক আক্রমণ সাজাচ্ছিল ভারত। মিতুল মারমার সামনে থেকে বল যেন সরছিলই না। তবে ভারত পরিষ্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
উল্টো এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। জাতীয় স্টেডিয়ামকে নাচিয়ে তোলেন শেখ মুরসালিন। যদিও আসল কারিগর রাকিব হোসেন। ১২তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে দ্রুত গতিতে তিনজনকে কাটিয়ে ভারতের বক্সে ঢুকে যান রাকিব।
বাম দিক থেকে রাকিব যে ক্রসটি নেন তাতে দুর্দান্তভাবে সামলে নেন মোরসালিন। ভারতীয় গোলরক্ষক এগিয়ে এসেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। বাংলাদেশের জার্সিতে সপ্তম গোলটি পেয়ে যান তিনি।
গোল পেলেও ম্যাচে তাল খুঁজে পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। এদিকে চোটে পড়ে ২৭ মিনিটেই উঠে যেতে বাধ্য হন তারিক কাজী। তার বদলি হিসেবে মাঠে নামেব শাকিল আহাদ তপু।
৩৪ মিনিটে সমতা ফেরানোর বড় সুযোগ পেয়ে যায় ভারত। তবে বাংলাদেশকে বাঁচান হামজা চৌধুরী। ভারতীয় একজনের ক্রস হেডে ক্লিয়ার করেন তিনি। তবে এর খানিকটা পরেই উত্তেজনা ছড়ায় ম্যাচে।
হঠাৎই তপু বর্মণের সাথে ভারতের বিক্রমের সংঘর্ষ হয়। ফলে উত্তেজনা ছড়িয়ে দুই দলের খেলোয়াড়দের মাঝে। এমনকি একটা সনয় হাতাহাতির পর্যায়ে পৌঁছায়। এমতাবস্থায় রেফারি তপু ও বিক্রম, দুজনকেই হলুদ কার্ড দেখান।
এরপরে অবশ্য তেমন বলার মতো কিছু ঘটেনি। হামজা দূরপাল্লার এক শট নিলেও অল্পের জন্য গোল পোস্টের বাইরে দিয়ে তা চলে যায়। ১-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।



