হামজা চৌধুরী

লেস্টারের হয়ে এফএ কাপ জয়ের মতোই ভারতকে হারানোর আনন্দ

বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ার কাবরেরা হাসিমুখে মিডিয়ার সামনে এলেন। সাথে থাকা হামজা চৌধুরী তো আরো খুশী।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
মুরসালিনের সাথে হামজা
মুরসালিনের সাথে হামজা |সংগৃহীত

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলতে খুবই কষ্ট হচ্ছিল ভারতের কোচ খালিদ জামিলের। যা কিছু বললেন এত আস্তে যে শোনাই যাচ্ছিল না। হারে তিনি ভীষণ হতাশ। তবে এটাকে ‘ফুটবল’ বলে অ্যাখ্যা দিলেন তিনি।

অন্যদিকে বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ার কাবরেরা হাসিমুখে মিডিয়ার সামনে এলেন। সাথে থাকা হামজা চৌধুরী তো আরো খুশী। প্রতিযোগিতা মূলক ম্যাচে এই প্রথম হামজার উপস্থিতিতে জয় বাংলাদেশের।

ভারতের বিপক্ষে মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বের ম্যাচে ভারতকে ১-০ গোলে হারিয়ে উল্লাসে মেতেছে পুরো জাতি। বাদ যাননি হামজা-কাবরেরাও। ম্যাচ সেরার পুরস্কার থাকলে হয়তো হামজাই পেতেন মাঠে তার অসাধারণ পারফরম্যান্সের জন্য।

সদা হাসিমুখে থাকা হামজা জানান, ‘খুব ভালো লাগছে এমন জয় পেয়ে। অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ হারাতে পারছিল না ভারতকে। এবার সেই জয়। আমাদের এতদিনের কষ্ট, এত লম্বা সময় পরিবার থেকে দূরে থাকা সব যেন সার্থক হলো এবার।’

এরপরেই উল্লেখ করেন, ‘আমরা গত চারটি ম্যাচেই ভালো খেলেছিলাম। আধিপত্য নিয়েই খেলেছিলাম। কিন্তু শেষ সময়ে বারবার হতাশ হতে হয়েছিল। এবার অবশ্য তা হয়নি। তাই খুবই আনন্দ লাগছে। দেশের ১৮ কোটি মানুষকে খুশী করাতে পেরেছি।’

লেস্টার সিটির এই ফুটবলার জানান, ‘ভারতকে হারাতে পেরে খুশী লাগছে। সাথে কষ্ট লাগছে আমরা কোয়ালিফাই করার দারুণ সুযোগ হাতছাড়া করায়। তবে আগামীতে আমরা কোয়ালিফাই করবো।’

এরপরই জানান, ‘লেস্টার সিটির হয়ে আমরা এফএ কাপ জয় করেছি। তবে ভারতের বিপক্ষে এই জয় ভিন্ন কারণে স্মরণীয়। ভিন্ন অর্থে এফএ কাপ জয়ের মতোই আনন্দ। অনেক দিন পর আমরা ভারতকে হারিয়েছি। বিশ্বের কোথাও এটা সম্ভব নয়।’

কোচ হাভিয়ার কাবরেরা এই জয়ের কৃতিত্ব সবাইকেই দিলেন। বলেন, ‘আমার কাছে এই জয়ের বিশেষ গুরুত্ব। অবশ্যই আমি খুব খুশী এই জয়ে।’