ইতিহাস গড়ে ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড

উয়েফা উইমেন্স ইউরোর নাটকীয় ফাইনালে স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। রোববার

নয়া দিগন্ত অনলাইন
শিরোপা জয়ের আনন্দে ইংল্যান্ড
শিরোপা জয়ের আনন্দে ইংল্যান্ড |ইন্টারনেট

ইতিহাস গড়ল ইংল্যান্ডের নারীরা। ইউরোর নতুন চ্যাম্পিয়নের তালিকায় নাম লেখালেন তারা। তৃতীয় দল হিসেবে একাধিকবার এই শিরোপা স্বাদ পেল থ্রি লায়ন্সরা। শিরোপা নির্ধারণ হয়েছে টাইব্রেকারে।

উয়েফা উইমেন্স ইউরোর নাটকীয় ফাইনালে স্পেনকে টাইব্রেকারে ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। রোববার বাসেলে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় দু’দল।

অবশ্য নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর অতিরিক্ত সময়েও কোনো গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় পেনাল্টি শুট আউটে। সেখানে স্পেনকে হারিয়ে ইতিহাস গড়েছে ইংলিশরা।

আক্রমণ আর বল দখলে স্পেন ছিল ম্যাচজুড়েই এগিয়ে। প্রথমে গোল করে এগিয়েও গিয়েছিল তারা। ৬৫ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে ও ২২টি শট নেয় স্পেনের মেয়েরা। ইংল্যান্ড শট নেয় মাত্র ৮টি।

খেলার ২৫তম মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড মারিওনা কালদেন্তে। ডান দিক থেকে আসা ক্রসে হেডে গোল করে আনন্দে ভাসান স্প্যানিশ সমর্থকদের।

তবে বিরতির পর ৫৭তম মিনিটে সমতায় ফেরে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধের শেষদিকে বদলি নামা ক্লোই কেলির ক্রস ধরে হেডে গোল করেন অ্যালেসিয়া রুশো, যিনি নিজেও আর্সেনালের হয়ে খেলেন।

এরপর নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দু’দলই বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেও গোলের দেখা পায়নি। নির্ধারিত সময়ের পর ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ৩০ মিনিটেও গোল করতে পারেনি কোনো দল।

এরপর খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। ১৯৮৪ সালের পর এবারই প্রথমবার ইউরো নারী ফাইনালের নিষ্পত্তি হলো টাইব্রেকারে। যেখানে স্পেনের স্বপ্ন ভেঙে উল্লাসে মাতে ইংল্যান্ড।

তবে শুরুটা ভালো ছিল না ইংল্যান্ডের। বেথ মিড পা পিছলে ডাবল টাচ করে প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হন। তবে আত্মবিশ্বাস হারায়নি ইংল্যান্ড। বাকি চার শটের তিনটিই সফলভাবে নেন খেলোয়াড়েরা।

অন্যদিকে স্পেনের তিন শটই ব্যর্থ হয়, যার মধ্যে দুটি রুখে দেন ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক। তাতেই উল্লাসে মাতে থ্রি লায়ন্সরা।

তৃতীয় দল হিসেবে একাধিক ইউরো জয়ের কীর্তি গড়ল ইংল্যান্ড। আগে এই কৃতিত্ব ছিল নরওয়ে (২ বার) ও জার্মানির (৮ বার)।