শক্তি, সামর্থ্য, ঐতিহ্যে আর্জেন্টিনা থেকে ঢের পিছিয়ে পুয়ের্তো রিকো। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তাদের অবস্থান যেখানে ১৫৫, আর্জেন্টিনা আছে সেখানে তিনে। ম্যাচেও সুস্পষ্ট হয়ে উঠল দুই দলের ব্যবধান।
বুধবার পুয়ের্তো রিকোর জালে গোল উৎসব করল বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। প্রীতি ম্যাচে মায়ামির চেইস স্টেডিয়ামে ৬-০ গোলে জিতেছে আর্জেন্টিনা। তবে চেনা মাঠে গোল পানননি মেসি, তবে পুরো ম্যাচই যেন নিয়ন্ত্রণ করেছেন তিনি।
আর্জেন্টিনা মাত্র ১৪ মিনিটের মাথায় এগিয়ে যায় ম্যাক অ্যালিস্টারের গোলে। প্রথমে মেসির নেয়া শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে বল পেয়ে যান গঞ্জালেজ। ব্যর্থ হয় তার শটও। তবে ফিরতি বল পেয়ে হেডে বল জালে জড়ান অ্যালিস্টার।
২৩তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন গন্সালো মন্টিয়েল। জটলার মাঝ থেকে মেসির উঁচু করে বাড়ানো বলে খুব কাছ থেকে ভলিতে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি। ৩৬তম মিনিটে অ্যালিস্টার নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে ব্যবধান ৩-০ করেন।
৪০তম মিনিটে ডাবল সেভে ব্যবধান কমতে দেননি এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। রিকার্দো রিভেরার জোরাল শট ডাইভ দিয়ে ফেরানোর পর ফিরতি বলে আরো একজনের নেয়া শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন তিনি।
দুই মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির ভলি বেরিয়ে যায় পোস্ট ঘেঁষে। ফলে বিরতির আগে আর গোল আসেনি। ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মেসিরা।
দ্বিতীয়ার্ধে বেশিরভাগ সময় ডি বক্সের আশেপাশেই ছিলেন পুয়ের্তো রিকোর ১০ খেলোয়াড়। জটলার মধ্যে প্রায়ই কারো না কারো পায়ে লেগে আটকে যাচ্ছিল শট। খেই হারিয়ে ফেলছিল আর্জেন্টিনার আক্রমণ।
কিন্তু এর মাঝেই ৬৪তম মিনিটে গন্সালেসের শট ডি বক্সে স্টিভেন এচেভারিয়ার পায়ে লেগে দিক পাল্টে জড়ায় জালে! ব্যবধান হয়ে যায় ৪-০।
৭৯ মিনিটে স্কোর লাইন ৫-০ করেন লাউতারো মার্টিনেজ। মেসির ক্রস বুক দিয়ে নামালেও তা নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি গন্সালেস। বল পেয়ে যান সামনে থাকা মার্টিনেজ। সুযোগ পেয়ে অনায়াসে জাল খুঁজে নেন তিনি।
৮৩তম মিনিটে ব্যবধান আরো বাড়ান মার্টিনেজ। মেসির ব্যাক হিলে বল পেয়ে দূরের পোস্ট ঘেঁষে জাল খুঁজে নেন তিনি। বাকি সময়ে আর জালের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ৬-০ গোলে জিতে মাঠ ছাড়ে তারা।