এমন হারে বিস্মিত হামজা, সমর্থকদের বললেন আস্থা রাখতে

প্রথমে জয়ের স্বপ্ন দেখা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা শেষ দিকে অন্তত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল। সুযোগও পেয়েছিল। তবে শেষ সময়ে এসে হংকং ঘটিয়ে ফেলে অঘটন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
হামজা চৌধুরী
হামজা চৌধুরী |ফাইল ছবি

এভাবেও হারা যায়! আর এমন হার মানা যায়! হামজা চৌধুরীও যখন বিস্ময় প্রকাশ করেন, তখন অবিশ্বাস্য কিছুই ঘটে গেছে বলা যায়। শেষ মুহূর্তে এসে এভাবে হেরে যাওয়া যেন অন্য সবার মতো হজম করতে পারছেন না হামজাও।

প্রথমে জয়ের স্বপ্ন দেখা লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা শেষ দিকে অন্তত পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে চেয়েছিল। সুযোগও পেয়েছিল। তবে শেষ সময়ে এসে হংকং ঘটিয়ে ফেলে অঘটন। বাংলাদেশ হেরে যায় ৪-৩ গোলে।

হারের পর ফুটবলার মাঠেই লুটিয়ে পড়ার দৃশ্যই বলে দিচ্ছিল কতটা হতাশ তারা। কেউ তো ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ধরে রেখেছিলেন নিজেকে, কেউ করে দিয়েছেন কান্না। সব মিলিয়ে হারটা মেনে নিতে পারছিল না কেউই।

ধকল কাটিয়ে ম্যাচের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বাংলাদেশের সব সমর্থকদের মতো হামজাও বললেন, হংকংয়ের বিপক্ষে অন্তত এক পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল বাংলাদেশের।

লেস্টার সিটির এ মিডফিল্ডার বলেন, ‘এটা এমন একটা ম্যাচ ছিল, আসলে বুঝতে পারছি না অন্তত এক পয়েন্টও কিভাবে পেলাম না।’

এদিকে, দুই বছরের বেশি সময় পর এক ম্যাচে ৩ গোলের দেখা পেল বাংলাদেশ। ২০২৩ সাফে ভোটানের বিপক্ষে শেষবার ৩ গোল করেছিল টাইগাররা, এরপর আরো ২০টি ম্যাচ খেললেও তিন গোল আসেনি কোনো ম্যাচে।

ফলে দল হারলেও দলের উন্নতি হচ্ছে বলে মনে করেন হামজা চৌধুরী। বলেন, ‘ভাঙা রেকর্ডার মনে হলেও আমরা কিন্তু ভালোই উন্নতি করছি, আমি মনে করি আমরা অনেক ভালোই খেলেছি।’

অবশ্য নাটকীয় এই হারের ধাক্কা দ্রুতই কাটিয়ে উঠতে হবে। আগামী মঙ্গলবার ফের হংকংয়ের মুখোমুখি হতে হবে টাইগারদের। চায়নার মাঠে এশিয়া কাপ বাছাইয়ের চতুর্থ ম্যাচটি খেলবে বাংলাদেশ।

তাই দুঃখ ভুলে সামনে চোখ রাখছেন হামজা, ‘পাঁচ দিন পরই আমাদের আরেকটি ম্যাচ খেলতে হবে। আমাদের এখন পরের তিনটা ম্যাচ জিততে হবে। এই হার আসলে ফুটবলেরই অংশ।’

এরপর সমর্থকদের উদ্দেশে হামজা বলেন, ‘সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আর আমাদের ওপর আস্থা রাখুন। আমাদের কঠোর পরিশ্রম তো দেখছেন। কোচ-ফুটবলারদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কখনো কখনো ভাগ্যেরও প্রয়োজন হয়।’