আসন্ন লিগ ও অন্য আসরগুলোর জন্য শুরু হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের দলগুলোর ক্যাম্প। বসুন্ধরা কিংস ও ঢাকা আবাহনী আগেই ক্যাম্প শুরু করেছিল এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের জন্য। সেই ম্যাচের পর ফের অনুশীলনে এই দুই ক্লাব। চ্যালেঞ্জ লিগের পর শুরু হয় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্প। ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালের বিপক্ষে দুই ফিফা প্রীতি ম্যাচের জন্য হাভিয়ার কাবরেরার এই ক্যাম্পে অন্য সব ক্লাব ফুটবলার ছাড়লেও বসুন্ধরা কিংস তাদের ১০ ফুটবলারকে ছাড়েনি। ক্লাব কোচের অধীনেই তপু বর্মন, রাকিব হোসেন, সোহেল রানাদের চলছে প্র্যাকটিস। ফুটবলাদের প্রি-সিজন অনুশীলন করানোর জন্যই এই ফুটবলারদের না ছাড়া। ফলে ১৪/১৫ জনকে নিয়ে আর সঠিক অনুশীলন হচ্ছিল না। তাই নতুন করে ৮ ফুটবলারকে ডেকেছেন কোচ। তবে এরা অনূর্ধ্ব-১৭ দলের খেলোয়াড়। আগামী মাসে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ টুর্নামেন্টের জন্য অনুশীলনে আছে তারা। এদের মধ্যে কয়েকজন বিকেএসপির হয়ে জাপান সফর করে এসেছেন। নাজমুল হুদা ফয়সালরা এই সুযোগে কাবরেরার অনুশীলন পাওয়ার সুযোগ পেলেন।
অবশ্য এই ফুটবলারদের কেউই সিনিয়র দলের সাথে নেপালে যাবে না। তারা শুধু প্র্যাকটিসের জন্যই। কারণ ২২ জন ফুটবলার না হলে উইথ বলে প্র্যাকটিস হয় না।
বসুন্ধরা কিংসের খেলোয়াড়দের না পাওয়ার ফলে দলে যে প্রভাব পড়ছে সেটা উল্লেখ করলেন অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। জানান, ‘আগে তো আমরা ১১ ও ১১ জন করে ম্যাচ খেলতে পারতাম। এখন সেখানে ৫ জনের ম্যাচ খেলতে হচ্ছে।’
তবে এবার তার নেতৃত্বে নেপালের মাঠে নেপালকে হারাতে চান তিনি। উল্লেখ্য নেপালের মাঠে নেপালের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ হয়নি জামালের। আর নিজের একাদশে থাকা নিয়ে ডেনমার্ক প্রবাসী এই ফুটবলার জানান, এটা কোচের ওপর নির্ভর করছে। দলেতো অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। তবে আমি খেলতে পারছি না এ জন্য খারাপ লাগছেই। জামাল জানান, ‘এবার যারা জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তাদের নিজেদের প্রমাণেরও সুযোগ এই আসরে।’
বাংলাদেশ দল দুই দিন আগে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ পুলিশ দলের বিপক্ষে। সে ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছে। নেপাল যাওয়ার আগে আরো দু’টি ম্যাচ খেলার কথা জানান কোচ।’ বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসান কয়েকদিন আগে বলেছিলেন, কোচ কাবরেরার আগের পরিকল্পনায় ছিল না সেপ্টেম্বর উইন্ডো। অথচ এখন তিনি সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে ম্যাচ খেলছেন। এই প্রসঙ্গে কাবরেরার জবাব, আমি কোনো বিতর্কে যেতে চাই না। মি: ইমরুলের প্রতি সম্মান আছে। তবে আমি আমার পরিকল্পনা আগেই দিয়েছি।
চ্যালেঞ্জ লিগে আবাহনীর হার নিয়ে কোচ কাবরেরা বলেন, আসলে আবাহনীর দূভার্গ্য যে তারা কিরগিজস্তানের মুরাস এফসির মতো শক্তিশালী দলের বিপক্ষে খেলেছে। তারা প্রথমার্ধে তিনটি গোলের চান্স মিস করেছে, তা না হলে ম্যাচের রেজাল্ট অন্যরকম হতে পারতো। তবে মুরাসের ফুটবলাররা প্রমাণ করেছে তাদের পক্ষে এমন ম্যাচের রেজাল্ট বের করা সম্ভব। আর বসুন্ধরা কিংস যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েই ম্যাচ জিতেছে সিরিয়ার ক্লাবের বিপক্ষে। তবে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক হয়েও সদ্য সমাপ্ত এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগে ঢাকা আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের দুই খেলার একটিও দেখেননি তিনি। অকপটেই স্বীকার করলেন জামাল।