বাফুফে

‘পাঙ্গাশ’ খান না নারী ফুটবলাররা

নারী দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলারও মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
নারী ফুটবলারদের উদযাপন
নারী ফুটবলারদের উদযাপন |ইন্টারনেট

যে নারী ফুটবলাররা নিয়ে আসছেন একের পর এক সাফল্য, যাদের বদৌলতে আসছে উৎসবের উপলক্ষ; সেই আফিদা-ঋতুপর্ণাদের নাকি ‘পাঙ্গাশ মাছ’ খাওয়ানো হয়- এমন অভিযোগ আছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

উড়ছেন নারী ফুটবলাররা। সময়টা বেশ ভালো যাচ্ছে তাদের। দেশকে অসামান্য সব গৌরব এনে দিয়েছেন আফিদা-সাগরিকারা। সময়ের সাথে সাথে ভারী করছেন অর্জনের পাল্লা।

টানা দু’বার সাফের শিরোপা জিতেছেন, ইতিহাস গড়ে প্রথমবার এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিয়েছেন। একইভাবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দলও এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে।

তবে যে নারী ফুটবলাররা এত সাফল্য এনে দিচ্ছেন, তারাই নাকি আবার সবচেয়ে অবহেলিত। এমনকি নারী ফুটবলাররা পুষ্টিকর খাবার পান না এমন কথাও শোনা যায় কান পাতলে।

এমন কি বাফুফের ক্যাম্পে মেয়েদের পাঙ্গাশ মাছ খেতে দেয়া হয়, এমন কথাও শোনা যায়। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ।

গতকাল সোমবার সংবাদমাধ্যমকে কিরণ বলেন, ‘পুষ্টিহীনতার কথায় আমি একমত হব না। বাফুফের ডর্মেটরিতে যে খাবার দেয়া হয়, সেটা পুষ্টিবিদ দিয়ে ডায়েট চার্ট করা।’

‘অনেকেই বলেন যে আমরা এখানে পাঙ্গাশ মাছ খাই। এক দিনও পাঙ্গাশ মাছ খাওয়ানো হয় না। মেয়েরা যদি ঠিকমত খেতেই না পারে, তাহলে তো শক্তি থাকবে না। ৯০ মিনিট খেলতেই পারবে না।’

নারী দলের প্রধান কোচ পিটার বাটলারও মেয়েদের পুষ্টিকর খাবার না পাওয়া নিয়ে অভিযোগ করেন। তবে কিরণের দাবি, মেয়েদের পুষ্টি নিশ্চিত করে ফেডারেশন।

তিনি বলেন, ‘ওরা তো ৯০ মিনিট একই ছন্দে খেলে। না খেয়ে খেলে? পাঙ্গাশ মাছ খেয়ে খেলে? না, তাদের পুষ্টি আমরা নিশ্চিত করি। কিন্তু ছোটবেলা তাদের যে সমস্যা ছিল, সেটা তো আমরা কাটাতে পারব না।’

তাহলে কী খেয়ে থাকেন আফিদারা? তাও জানান কিরণ। বলেন, ‘রুই মাছ থাকে। থাকে মুরগি, গরু, খাসি ও ডিম। মেয়েরা খেতে চাইলে ইলিশ ও পাবদা দেয়া হয়। ক্যাম্পে তো এমন খাবারই দেয়া হয়। কেন মিথ্যা প্রচার করা হয়?’

সম্প্রতি লাওস গিয়ে খাবার সমস্যায় পড়েছিলেন নারী ফুটবলাররা। সমস্যা সমাধানে বাঙালীয়ানা রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার সংগ্রহ করা হয় বলে জানান কিরণ।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘একেক দেশের খাবার একেক রকম। লাওসের খাবার তো আমাদের মেয়েরা খেতে পারে না। বাঙালি খাবার খেতে না পারার কারণে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছিল। এজন্য বাঙালি রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার খাওয়ানো হয়।’