এমবাপ্পের ৪ গোলের পরও কষ্টার্জিত জয় রিয়ালের

রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপ্পের দুর্দান্ত ৪ গোলের পরও কঠিন লড়াইয়ে অলিম্পিয়াকোসকে ৪-৩ ব্যবধানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগে গুরুত্বপূর্ণ জয় পেয়েছে। পাঁচ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সাথে কিলিয়ান এমবাপ্পে
ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের সাথে কিলিয়ান এমবাপ্পে |নয়া দিগন্ত

কিলিয়ান এমবাপ্পে একাই করলেন ৪ গোল, তবুও যেন দম যায় যায় রিয়াল মাদ্রিদের। ঝেঁকে বসেছিল পয়েন্ট হারানোর শঙ্কা। সেই শঙ্কা শেষ পর্যন্ত এড়িয়েছে লস ব্লাঙ্কোজরা, হারিয়েছে অলিম্পিয়াকোসকে।

স্টাডিও জিওর্গিওস কারাইস্কাকি স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচে মোট গোল হয়েছে ৭টি। শেষ দিকে রোমাঞ্চ ছড়ানো এই ম্যাচটায় যেখানে শেষ হাসি রিয়ালের, ৪-৩ গোলে জিতেছে তারা।

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ৪ গোলের সবগুলোই ছিল এমবাপ্পের। প্রথমার্ধে হ্যাটট্রিক করা ফরাসি এই ফরোয়ার্ড দ্বিতীয়ার্ধে করেন আরো ১ গোল। চলতি ইউরোপ সেরার মঞ্চে এখন তার গোল হলো ৯টি।

হ্যাটট্রিক করতে এমবাপ্পের সময় লাগে ৬ মিনিট ৪২ সেকেন্ড, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে ২০২২ সালে রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে হ্যাটট্রিক করেছিলেন সালাহ।

অবশ্য ম্যাচের প্রথম গোলটি ছিল অলিম্পিয়াকোসের। ম্যাচের ৮ মিনিটে গোল হজম করে বসে রিয়াল মাদ্রিদ। নিজেদের মধ্যে দারুণভাবে বল দেয়া-নেয়া করে গোলটি করেন চিকুইনহো।

গোল শোধ করতে বেশি সময় লাগেনি রিয়ালের। এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গার লম্বা পাস ধরে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র সেটা এগিয়ে দেন এমবাপ্পেকে। যা থেকে অনায়াসে গোল আদায় করে নেন এই ফরাসি তারকা।

মিনিট দুয়েক পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এমবাপ্পে। দারুণ হেডারে আরেকবার অলিম্পিয়াকোসের জাল কাঁপান তিনি। এই গোলে তাকে সহায়তা করেন আর্দা গুলের। রিয়াল মাদ্রিদ এগিয়ে যায় ২-১ ব্যবধানে।

৩ মিনিট পর হ্যাটট্রিকও পেয়ে যান এমবাপ্পে। মাঝমাঠ থেকে কামাভিঙ্গার চিপ পাস এমবাপ্পে দারুণভাবে রিসিভ করেন। সেখান থেকে লক্ষ্যভেদ করতে সমস্যা হয়নি তার।

এর ৩ মিনিট পরে আরেকবার বল জালে জড়ান এমবাপ্পে। যদিও অফসাইডে থাকায় সেই গোল বাতিল হয়। ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় রিয়াল মাদ্রিদ।

৫২ মিনিটে ব্যবধান কমিয়ে লড়াইয়ে নতুন করে নাটকীয়তা ফেরান মেহদি তারেমি। হেডে গোলটি করেন ইরানের ফরোয়ার্ড। এই গোলে গ্যালারিতেও যেন প্রাণ ফেরে। স্কোর তখন ৩-২।

৫৯তম মিনিটে ভিনিসিউস জুনিয়রের সহায়তায় নিজের ও দলের চতুর্থ গোলটি করেন এমবাপ্পে। রিয়ালের জার্সিতে এই মৌসুমে তার মোট গোল হলো ২২টি। ৮০ মিনিট পর্যন্ত ৪-২ গোলেই এগিয়ে ছিল লস ব্লাঙ্কোজরা।

৮১তম মিনিটে আবারো রোমাঞ্চ বাড়ায় অলিম্পিয়াকোস। সতীর্থের ক্রসে হেডে স্কোরলাইন ৪-৩ করেন মরক্কোর ফরোয়ার্ড এল কাবি। ম্যাচে ফেরে উত্তেজনা। তবে শেষ পর্যন্ত আর বিপদ আসতে দেয়নি রিয়াল।

শেষ সময়ে কয়েকটি সুযোগও তৈরি করে তারা; কিন্তু আর কোনো সাফল্য পায়নি দলটি। ফলে প্রথমবার অলিম্পিয়াকোসের মাঠ থেকে বিজয়ীর বেশে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ।

পাঁচ ম্যাচে চার জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে প্রাথমিক পর্বের টেবিলে পঞ্চম স্থানে উঠল প্রতিযোগিতাটির সফলতম ক্লাবটি। অন্যদিকে আসরে এখন পর্যন্ত জয়ের স্বাদ না পাওয়া অলিম্পিয়াকোস ২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ৩৩ নম্বরে।