ফিফা বিশ্বকাপজয়ীদের চেয়ে তিন গুণ প্রাইজমানি পেলো ক্লাব বিশ্বকাপজয়ী চেলসি

এই আসরের প্রাইজমানি চোখ কপালে তুলবে সবার। পুরস্কার হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার! অথচ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছিল এর অর্ধেকেরও কম, ৪৪ কোটি ডলার।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
ফিফা বিশ্বকাপজয়ীদের চেয়ে তিন গুণ প্রাইজমানি পেলো ক্লাব বিশ্বকাপজয়ী চেলসি
ফিফা বিশ্বকাপজয়ীদের চেয়ে তিন গুণ প্রাইজমানি পেলো ক্লাব বিশ্বকাপজয়ী চেলসি

ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে চেলসি। ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন পিএসজিকে আক্ষেপে ভাসিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। রোববার রাতে ফাইনালে চেলসির জয় ৩-০ গোলে।

এই জয়ে যেমন শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে চেলসি, তেমনি পেয়েছে মোটা অংকের প্রাইজমানিও। শিরোপা জিততে না পারলেও পিএসজি পেয়েছে বেশ বড় টাকার ভাগ। রিয়াল মাদ্রিদও কম যায়নি।

এই আসরের প্রাইজমানি চোখ কপালে তুলবে সবার। পুরস্কার হিসেবে ১ বিলিয়ন ডলার! অথচ ২০২২ কাতার বিশ্বকাপের প্রাইজমানি ছিল এর অর্ধেকেরও কম, ৪৪ কোটি ডলার।

সব মিলিয়ে ফিফা বিশ্বকাপজয়ী দল থেকেও বেশি প্রাইজমানি পাচ্ছে চেলসি। যেখানে আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ জিতে পেয়েছিল ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড, ক্লাব বিশ্বকাপ জিতে চেলসি পেয়েছে প্রায় তিন গুণ।

এমনকি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা দলগুলোও পেয়েছে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার থেকেও বেশি অর্থ পুরস্কার!

চেলসির মোট আয় ৮৪ মিলিয়ন পাউন্ড, যা বাংলাদেশী মুদ্রায় প্রায় ১ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা। রানার্সআপ পিএসজিরও পকেট ভরেছেও বেশ, মোট আয় ৭৮.৪ মিলিয়ন পাউন্ড বা ১ হাজার ২৮৯ কোটি পেয়েছে তারা।

সেমিফাইনালে পৌঁছে রিয়াল মাদ্রিদ আয় করেছে ৬৬.৫ মিলিয়ন পাউন্ড, আর ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্স পেয়েছে ৫০.৪ মিলিয়ন পাউন্ড।

কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা ক্লাবগুলোর মধ্যে বায়ার্ন মিউনিখ পেয়েছে ৪২.৭, বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ৩৮.৪, ম্যানচেস্টার সিটি ৩৭.৮ এবং পালমেইরাস ২৯.১ মিলিয়ন পাউন্ড।

টুর্নামেন্টে অংশ নেয়া ক্লাবগুলোও পেয়েছে মোটা অংকের প্রাইজমানি।

ইন্টার মিলান: ২৬.৩ মিলিয়ন, আল হিলাল: ২৫ মিলিয়ন, বেনফিকা: ২৩ মিলিয়ন, ফ্লামেঙ্গো: ২০.৩ মিলিয়ন, বোটাফোগো ও জুভেন্টাস: ১৯.৬ মিলিয়ন ও পোর্তো পেয়েছে ১৭.৬ মিলিয়ন পাউন্ড।

তা ছাড়া অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ: ১৭.৪ মিলিয়ন, মন্টেরে: ১৫.৫ মিলিয়ন, রিভার প্লেট: ১৩.৩ মিলিয়ন, বোকা জুনিয়র্স: ১২.৬ মিলিয়ন, আরবি সালসবুর্গ: ১১.৬ মিলিয়ন পাউন্ড পুরস্কার জিতেছে।

সবচেয়ে কম অর্থ পেয়েছে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটি। কোনো ম্যাচ না জিতেও তারা আয় করেছে ৩.৩ মিলিয়ন পাউন্ড।