চলছে নারী ফুটবল লিগের দলবদল। অংশ নিতে যাওয়া ১১টি ক্লাব অংশ নেবে এবারের লিগে। লিগের জন্য ক্লাবগুলো যেমন ফুটবলার খুঁজছে, তেমনি খেলোয়াড়রাও চাহিদামতো পারিশ্রমিকের দাবিতে ক্লাবগুলোর সাথে দর কষাকষি করছে। দেশের শীর্ষ তারকা ফুটবলাররা ৪/৫ লাখ টাকার নিচে খেলতে চাচ্ছেন না। এরই মধ্যে যোগ হয়েছে পুল ইস্যু।
বাফুফের নারী উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরন আগেই জানিয়েছিলেন যে, এবারের লিগে কোনো পুল হবে না। অথচ এরপরও জাতীয় দলের খেলোয়াড়দের দুটি ক্যাটাগরি করে পট করা হয়েছে। সেই পটের নির্দিষ্ট খেলোয়াড়রই নিতে পারবে একেকটি ক্লাব।
কাতার থেকে ফিরে রোববার এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছেন কিরণ। জানান, কোনো পুলই থাকছে না এবার।
‘আমরা এবারের লিগটা বিশেষ উদ্দেশ্যে চালু করতে যাচ্ছি। মার্চে অস্ট্রেলিয়ায় নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্ব। এরপর এপ্রিলে থাইল্যান্ডে এএফসি অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলের ফাইনাল রাউন্ড। এই দুই আসরের চূড়ান্ত পর্বে ভালো করার জন্য লিগে জাতীয় দলের সবাইকে খেলার সুযোগ দিতে চাই। যাতে তারা ক্লাবগুলোতে ভাগ ভাগ হয়ে লিগ খেলতে পারে,’ বলেন তিনি।
কিরন জানান, ‘এই লিগে আমরা চার প্রতি ক্লাবে চার বিদেশীকে খেলানোর অনুমতি দিয়েছি। এটা লিগকে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার জন্য। সাথে অনূর্ধ্ব-১৭ ও অনূর্ধ্ব-২০ ফুটবলারদের প্রতি ক্লাবে নেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সেটাও তাদের লিগ খেলে এশিয়ান কাপের প্রস্তুতিটা ভালোভাবে করতে।’
বললেন, ‘ভবিষ্যতে আর চার বিদেশীকে লিগে খেলার অনুমিত দেবো না। অনুমতি দেয়া হবে দুই বিদেশীর রেজিস্ট্রেশন এবং একজন করে খেলানোর। কারণ আমার দেশের ফুটবলারদের খেলার সুযোগ দিতে হবে।’
তার মতে, অনূর্ধ্ব-২০ এবং অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবলাররা সিনিয়রদের সাথে লিগ খেলবে, এটা আসলে ঠিক নয়। তাদের জন্য আলাদা লিগ হওয়া উচিত।



