ব্যালন ডি’অর না জিতেও ইতিহাস গড়েলেন ইয়ামাল, বর্ষসেরা কোচ এনরিকে

প্যারিসে অনুষ্ঠিত ব্যালন ডি’অর অনুষ্ঠানে পুরুষ বিভাগে উসমান দেম্বেলে, নারী বিভাগে আইতানা বোনমাতি শীর্ষ সম্মান জেতেন। তরুণদের কোপা ট্রফি জিতে টানা ইতিহাস গড়েন লামিনে ইয়ামাল, আর বর্ষসেরা কোচ হন পিএসজির লুইস এনরিকে।

নয়া দিগন্ত অনলাইন
লামিনে ইয়ামাল ও লুইস এনরিকে
লামিনে ইয়ামাল ও লুইস এনরিকে |নয়া দিগন্ত

স্বপ্ন সত্যি হয়েছে উসমান দেম্বেলের। ‘ইউরোপ সেরার’ সিংহাসন এখন তার দখলে। জিতেছেন ফুটবলের অন্যতম গৌরবময় পুরস্কার ‘ব্যালন ডি’অর।’ অন্যদিকে ব্যালন ডি’অর না জিতলেও ইতিহাস গড়েছেন ইয়ামাল।

শুধু দেম্বেলে নয়, গতরাতে বেছে নেয়া হয়েছে ইউরোপীয় ফুটবলের সেরা পুরুষ ও নারী ফুটবলারসহ সেরা গোলরক্ষক, তরুণ খেলোয়াড়, সর্বোচ্চ গোলদাতা ও সেরা কোচকে। খুঁজে নেয়া হয় সবচেয়ে দর্শনীয় গোল, সেরা ক্লাবকেও।

প্রতি বছর জমকালো আয়োজন করে দেয়া হয় মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার। এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি। ফ্রান্সের প্যারিসের থিয়েত্র দু শাতেলে বর্ণাঢ্য আয়োজন করেই সোমবার ব্যালন ডি’অর তুলে দেয়া হয় দেম্বেলের হাতে।

অবশ্য এর প্রাপ্যই ছিলেন তিনি। গত মৌসুমে ৫৩ ম্যাচে ৩৫ গোল ও ১৬টি গোল বানিয়ে জিতিয়েছেন ঐতিহাসিক ‘ট্রেবল’। প্যারিস যে ট্রফিটার জন্য মাথা কুটে মরেছে, সেই চ্যাম্পিয়নস লিগও এনে দিয়েছেন।

পিএসজির স্বপ্ন চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ে দেম্বেলের অবদান ছিল বিশাল। ১৪ গোলে সরাসরি অবদান (৮ গোল, ৬ গোলে সহায়তা)। ফরাসি কোনো ক্লাবের হয়ে এক মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে যা সর্বোচ্চ।

এদিকে টানা তৃতীয়বারের মতো মেয়েদের ব্যালন ডি’অর জিতেছেন বার্সেলোনার স্প্যানিশ মিডফিল্ডার আইতানো বোনমাতি। প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে তিনবার বর্ষসেরার এই পুরস্কার জিতলেন তিনি।

ছাড়িয়ে গেলেন দু’বার জেতা বার্সেলোনা ও স্পেনের আরেক ফুটবলার আলেক্সিয়া পুতিয়াসকে। বোনমাতি গত মৌসুমে বার্সেলোনা নারী দলের ঘরোয়া ট্রেবল জয়ে অবদান রাখেন।

সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৬ গোল করার পাশাপাশি ১২টি অ্যাসিস্ট করেন তিনি, নির্বাচিত হন উইমেন’স চ্যাম্পিয়ন্স লিগের মৌসুম-সেরা খেলোয়াড়।

অবশ্য দুর্দান্ত সময় কাটানো লামিনে ইয়ামালও গড়েছেন ইতিহাস। ব‍্যালন ডি’অরের সম্ভাব‍্য জয়ীদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় নাম থাকা ইয়ামালে জেতেন কোপা ট্রফি। যা ইউরোপের সেরা উদীয়মান খেলোয়াড়ের পুরস্কার।

ইয়ামাল প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতলেন টানা দু’বার। ১৮ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড প্রথম জেতেন গত বছর। মেয়েদের মধ‍্যে এই পুরস্কার জিতেছেন বার্সেলোনার ভিকি লোপেস।

২০১৯ সাল থেকে সেরা গোলরক্ষককে দেয়া হচ্ছে ইয়াসিন ট্রফি। দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জেতেন দোন্নারুম্মা। নারী বিভাগে সেরা গোলরক্ষক হয়েছেন চেলসির ইংলিশ গোলরক্ষক হান্না হাম্পটন।

এদিকে বর্ষসেরা কোচের পুরস্কার ইয়োহান ক্রুইফ ট্রফি জিতেছেন পিএসজিরই লুইস এনরিকে। নারী বিভাগে জিতেছেন ইংল্যান্ডের কোচ সারিনা ভিগমান।

বর্ষসেরা ক্লাব হয়েছে পিএসজি, নারী বিভাগে আর্সেনাল। সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন আর্সেনালের সুইডিশ ফুটবলার ভিক্টর ইয়োরকেরেস, নারী বিভাগে পোল্যান্ড ও বার্সেলোনার এয়া পাজোর।