প্রথম টি-টোয়েন্টিতে একটুর জন্য জিততে পারেনি জিম্বাবুয়ে, তবে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ঠিকই লঙ্কা বধের গল্প লিখেছেন সিকান্দার রাজারা। সেটাও লঙ্কানদের লজ্জা উপহার দিয়ে, মাত্র ৮০ রানে গুটিয়ে দিয়ে।
নিজেদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৮০ রানে অলআউট হওয়ার পর জয়ের আশা করা কঠিনই, তবুও লড়াই করলো শ্রীলঙ্কা। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, ৩৪ বল হাতে রেখে ৫ উইকেটে জিতেছে জিম্বাবুয়ে।
টি-টোয়েন্টিতে আটবারের দেখায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দ্বিতীয় জয় পেল জিম্বাবুয়ে। প্রথমটি ছিল ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে, কলম্বোয় ৪ উইকেটের জিতেছিল তারা। এই জয়ে সিরিজে ফিরল ১-১ সমতা।
টসে জিতে ব্যাটিং করে ১৭.৪ ওভারে ৮০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৭৭ রানের পর যা তাদের দ্বিতীয় সর্বোনিম্ন স্কোর।
বল হাতে জাদু দেখান সিকান্দার রাজা ও ব্র্যাড ইভান্স। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন রাজা। আর ২.৪ ওভারে ইভান্স নিয়েছেন ১৫ রানে ৩ উইকেট। যদিও সুর বেঁধে দিয়েছিলেন ব্লেসিং মুজারাবানি।
ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারেই মুজারাবানির বলে ফেরেন কুশল মেন্ডিস (১)। দলীয় ১৭ রানে ইভান্সের ছোবলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন পাথুম নিসাঙ্কা। এরপর নুয়ানিদু ফার্নান্দো, কামিল মিশারাকেও ফেরান দু’জনে মিলে।
আর আগের ম্যাচে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেয়া কামিন্দু মেন্ডিসকে এবার রানের খাতাই খুলতে দেননি রাজা। ৭ ওভারে ৩৮ রানে ৫ উইকেট হারায় সফরকারীরা।
এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কার হয়ে দুই অঙ্ক ছুঁতে পেরেছেন কেবল তিনজন। সর্বোচ্চ ২০ রান করেন মিশারা, আসালাঙ্কা ১৮ ও দাসুন শানাকা করেন ১৫ রান।
ছোট লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় জিম্বাবুয়ে। ২৭ রানে তিন উইকেট হারিয়ে এই লক্ষ্যটা কঠিন বানিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। তারপর ব্রায়ান বেনেট-রায়ান বার্লের ২৬ রানের জুটি বিপর্যয় থেকে বাঁচিয়ে দেয়।
১৯ রান করে বেনেট ফিরলেও ২২ বলে ২০ রান করে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন বার্ল। ছয়ে তাসিঙ্গা মুসেকিউয়া খেলেন ১৪ বলে ২১ রানের অপরাজিত ইনিংস। ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন দুশমান্ত চামিরা।